ভোরের কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডায় বেঁকে বসেছে শীত। বইছে ঠান্ডা বাতাস। এরই মধ্যে মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের ৪টি উপজেলায় গাছিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন রস সংগ্রহে। তবে পরিচর্যা ও অনাগ্রহের কারণে এ জেলায় দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলেছে খেজুর গাছের সংখ্যা সেই সাথে গাছিরাও বদলাচ্ছেন নিজ নিজ পেশা। তাই প্রাচীন এ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে কৃষকদের সহায়তা করার কথা বলেছে জেলা কৃষি বিভাগ।
কার্তিকের শুরুতেই প্রকৃতিতে শুরু হয় শীতের আমেজ। ঋতু চক্রে এখন এসে পড়েছে মাঘ মাস শীতকাল। তবে শুরতে আগেভাগেই চলে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। শিশির ভেজা কুয়াশার চাদর মোড়ানো শীতে খেজুরের রসের জুড়ি মেলা তার। লক্ষ্মীপুরের বাস্তানগরে কাক ডাকা ভোর থেকেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে গাছিদের। এক দশক আগেও পতিত জমি, রাস্তার পাশে ছিলো খেজুর গাছের আধিক্য। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কমছে গাছ ও গাছির সংখ্যা। তবে ইটের ভাটায় পাকড়ি হিসেবে খেজুর গাছ পোড়ানো এবং গাছিদের দক্ষতার অভাবে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার গাছ এমনটি মনে করেন স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার চরমন্ডল গ্রামের ইব্রাহিম (২৪) বলেন, আমার বাবা আগে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতো। তবে গ্রামে দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলেছে এই খেজুর গাছ। যদি সরকারি ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে ঠিকে থাকবে গ্রামীণ এ ঐঐতিহা ও মৌসুমি আর্থিক ব্যবস্থা।এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো: জাকির হোসেন বলেন, মাইনর ফসল হিসেবে কৃষি বিভাগ থেকে খেজুর গাছের ব্যাপারে কোনো উদ্যেগ না থাকলেও আগ্রহী কৃষকদের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গতবছর কমলনগর উপজেলায় ৫’শত চারা রোপণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, লক্ষ্মীপুরে ৩৫ হেক্টর জমিতে খেজুর গাছ রয়েছে এবং নতুন প্রজন্য রস সংগ্রহের অনাগ্রহের কারণে বেশিরভাগ গাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয় না খেজুরের রস।