টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে হানাদারমুক্ত দিবস। ঐতিহাসিক এই দিনে—১০ ডিসেম্বর—১৯৭১ সালের রক্তঝরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ঘাটাইলসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়।
সরকারি নথি ও মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাহসীকতার সঙ্গে ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী, কালিহাতী, ভুঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলায় একযোগে আক্রমণ চালান। পাক-হানাদার বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে এই প্রবল আক্রমণে শতাধিক রাজাকার-আলবদর ও পাকিস্তানি সেনা আটক হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এতে হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে এবং তারা ঢাকার দিকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ওইদিনই এ অঞ্চলে উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ২৬ মার্চ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। তাঁদের নেতৃত্বেই ১০ ডিসেম্বর উত্তর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী সম্পূর্ণভাবে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শনিবার ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকালে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।