ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার আবুবকরপু ইউনিয়ন হাসানগঞ্জ এলাকার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসুদ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আল-আমিন কে গ্রেফতার করেছে দুলারহাট থানা পুলিশ। এ বিষয়ে আজ দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোহান সরকার বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়ন দুলার হাট থানার হাসানগঞ্জ এলাকায় গত ৪ এপ্রিল সকাল সারে ১১টার দিকে মৃত হানিফ মাস্টার এর ছেলে আসামি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আল-আমিন ও তার সঙ্গীয় ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসি দিন মজুর মাসুদকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার সময় আহত হয়েছেন ওই পরিবারের অন্তঃস্বত্তা নারীসহ আরো ৬ জন। নিহত মাসুদ ওই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ও ঢাকা সাভার এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ঘটনার পরপরই আসামী আল-আমিনসহ সাথে থাকা অন্যান্য আসামীরা ঘটনাস্থল হতে দ্রুত চলে যায়। ঘটনার পরপরই নিহত মাসুদের ভাই দুলারহাট থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামে আরো ২০জনকে একটি হত্যা মামলা দাযরে করেন। ঘটনার দিনই দুলারহাট থানা পুলিশ ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে ৯ জন আসামীকে ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আলামতসহ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে। তিনি আরো বলেন,ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক, মহোদয়ের দিক-নিন্দেশনায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ দুলারহাট থানা পুলিশের একটি টিম এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ আল-আমিন কে ঘটনার ১৫ দিন পর ডিএমপি, ডিবির সহায়তায় ঢাকা মতিঝিল থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন যে, আসামী আল-আমিন ভিকটিম মাসুদ এর বাসায় গিয়ে ২,০০,০০০টাকা চাঁদা দাবী করে। মাসুদ চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামী আল-আমিন তাহার সাথে থাকা অন্যান্য আসামীদের নিয়ে ভিকটিম মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করে। উল্লেখ্য যে, আসামী আল-আমিন দুলারহাট থানাধীন আবুবক্করপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব।