মাদক,সন্ত্রাস,ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ,বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পিরোজপুরের জিয়ানগর থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১এপ্রিল) সকাল ১০টায় জিয়ানগর থানা সভাকক্ষে সমাজের বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণে এ ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়। জিয়ানগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মারুক হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর ০১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আল্লামা সাঈদীপুত্র আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফরিদ আহমেদ,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল কবির তালুকদার,উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা আলী হোসেন, উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন ও মোস্তান হাফিজ,৩নং বালিপাড়া ইউনিয়ন (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবুল তালুকদার,উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল জলিল,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আল আমিন হোসেনসহ আরো অনেকে। প্রধান অতিথিত তার বক্তব্যে বলেন,সমাজের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে কোন অন্যায় অপরাধ দূর করতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হতে হবে, জনগণের সহযোগিতা মাধ্যমে পুলিশের যেকোনো অন্যায় অপরাধ নির্মূল করা সহজ হবে এক্ষেত্রে তথ্য দান কারীর নাম,পরিচয় গোপন রাখা হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে জনাব মাসুদ সাঈদী তার বক্তব্যে বলেন,”পুলিশ জনগণের বন্ধু,জনগণের সেবক,জনগণের জান মাল রক্ষা করা পুলিশের কর্তব্য” কিন্তু আমাদের সমাজে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে,এগুলোর মধ্যে মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি,বাল্যবিবাহ সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মুখাপেক্ষী আমরা প্রায় সকলেই হচ্ছি,শুধুমাত্র পুলিশের পক্ষে এগুলো নির্মূল করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে, পুলিশকে জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে এ সকল অন্যায় অপরাধ নির্মূল করা সহজ ও সম্ভব হবে। প্রত্যেক অভিভাবকগনকে তার সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যাতে তারা সঙ্গ দোষে বা খারাপ অভ্যাসে মাদক,ইভটিজিং চাঁদাবাজির মত অপরাধে জড়িয়ে না পরে। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে,ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে,এক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম সাহেবদের এগিয়ে আসতে হবে তাদের আলোচনায় এ সকল খারাপ কাজের পরিণতি মুসল্লিদের সামনে তুলে ধরতে হবে। সর্বোপরি সবার সহযোগিতার মাধ্যমে এ সকল খারাপ কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।