মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামাড়খাড়া এলাকায় সড়ক ও জনপদ এবং গ্রামিন সরকারী সড়কের জমি দখলের মহোৎসব চলছে। কামারখাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মাদবরের ছেলে নুরু মাদবর, আমিন হক মাদবর, আমানুল মাদবর এবং হাসেম মাদবরের ছেলে হানিফ মাদবরসহ ওই এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি দির্ঘদিন যাবৎ সরকারী সম্পত্তি দখলের মাহেৎসবে মেতে উঠেছেন। সরেজমিনে সোমবার বিকালে গিয়ে দেখা যায় মুক্তারপুর- দিঘিরপাড় সংযোগ সড়কের বেসনাল চৌরাস্তার উত্তর পাশে কামাড়খাড়া এলাকায় সড়ক ও জনপদের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে । এ ছাড়াও ওই সংযোগ সড়ক হতে কামারখাড়া খানকা পর্যন্ত সরকারী ২৪ ফুট সড়কটির অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে উক্ত ভূমিদশূরা। সরকারী সম্পত্তির উপর দিয়ে সড়ক যাওয়া সত্ত্বেও দখলের কারনে এখোন ওই সড়ক দিয়ে যানবাহনতো দূরের কথা মানুষের হেটে যাতায়াতেও কষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন কাচা স্থাপনার পাশাপাশি পাকা স্থাপনাও তৈরি করা হচ্ছে সড়ক দুটি দখল করে। দিন দিন দখলের পরিমান বাড়ছে । একজনকে দেখে অন্যেরা উদ্বুদ্ধ হচ্চে। দোকানঘর টয়লেড বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে সড়ক দখল করে। এতে ভবিষ্যতে ওই এলাকায় সড়কের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিবে বলে এলাকার লোকের শঙ্কা। তাই তারা দ্রুত সড়ক দুটি উদ্ধার করে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় মোহন সৈয়াল বলেন, ওই এলাকায় সড়ক ও জনপদের সড়কটি ৮০ ফুট প্রসস্ত অথচ মানুষ এখোন ৬০ ফুট দখল করে নিছে পাশের কামাড়খাড়া গ্রামে যাতায়াতের সড়কটি ২৪ ফুট প্রসস্ত অথচ এখোন ৬ ফুটও নাই সব দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে দখল চলতে থাকলে সড়কের অস্তিত্ব থাকবে না। স্থাণীয় মিজান হালদার বলেন, কামাড়খাড়া গ্রামে যাতায়াতের সড়কটি ২৪ ফুট পাশ অথচ এখোন ৫ ফুটও নাই। মানুষ এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে যাওয়াতো দূরের কথা হেটে যাতায়াত করতেও কষ্ট হচ্ছে। সড়কের জমি অনেকে দখল করে রেখেছে। দ্রুত সড়কের জমি উদ্ধার করে রাস্তাটি সংস্কার না করা হলে পুরো সড়কই দখল হয়ে যাবে। আবু কালাম বলেন, সড়কটির স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করে ও সড়কের গোড়া হতে মাটি কেটে নিয়ে মানুষ যেভাবে সড়কটি দখল করছে তাতে সড়কটি নিচিন্থ হয়ে যাওয়ার মতো হয়ে দাড়িয়েছে। আমি তাই সড়কের জমির কিছু অংশে বেরা দিয়ে রেখেছি মানুষ যাতে মাটি কেটে নিতে না পারে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি। যখন সড়ক সংস্কার হবে আমি আমার বেড়া ভেঙ্গে নিয়ে যাবো। শাহালম বলেন, জন্মের পর হতে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। এ রাস্তাটি ছাড়া আমাদের বাড়ি হতে বের হওয়ার অন্য কোন রাস্তা নাই। রাস্তাটি দখল করে নিয়ে যাচ্ছে স্থাণীয় কিছু লোক। দেখে প্রতিনিয়ত মনে কষ্ট পাচ্ছি কিন্তু রাস্তাটি উদ্ধারে সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের সহযোগীতা চাই।
স্থাণীয় ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইলিয়াস মুন্সী বলেন, কামাড়খাড়া এলাকা হতে খানকা পর্যন্ত সড়কটি আমরা কয়েক বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইট বিছিয়ে দিয়েছিলাম। রাস্তাটি কতফুট প্রসস্ত সে ব্যপারে আমার সঠিক জানা নেই।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ( সওজ ) নাজমুস হোসেন সাকিব বলেন, ওই স্থানে আমাদের সড়কের পাশে কি পরিমান জমি আছে তা এখোন সঠিকভাবে বলতে পারছিনা । তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করিবো।