মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
১। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্তে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে চলমান অভিযানে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) আজ আরেকটি সাফল্য অর্জন করেছে। অদ্য ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ইয়াবা (১,১০,০০০ পিস ট্যাবলেট) পাচারের সময় জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযান, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের চলমান অঙ্গীকারের আরেকটি সাফল্যের স্মারক।
২। সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষা মৌসুমে বিরাজমান প্রতিকুল আবহাওয়ার সুযোগে নাফ নদী দিয়ে জলাবদ্ধ কেওড়া বাগানের আড় নিয়ে রাতের অন্ধকারে
মায়ানমার হতে মাদক পাচারের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের বেড়িবাঁধে বিদ্যমান পোস্ট সমূহে বিজিবির সতর্ক অবস্থানসহ টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
৩। নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে, অদ্য ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ০১১৫ ঘটিকায়, প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে তীব্র বাতাস এবং ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আদমের জোড়া, নোয়াপাড়া বিএসপি সংলগ্ন বেড়ি বাঁধ দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়। যার প্রেক্ষিতে, অধীনস্থ লেদা বিওপি এবং নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প হতে একাধিক টহলদলকে নাফ নদীর তীরে কৌশলগত স্থানে মোতায়েন করা হয়। গভীর রাতে দুইজন ব্যক্তিকে চুপিসারে সন্দেহজনক ভাবে বেড়িবাঁধ অতিক্রমের চেষ্টা করতে দেখা গেলে বিজিবি সদস্যরা মাদক পাচারকারী সন্দেহে তাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে, তারা নদীর তীরের জলমগ্ন কেওড়া জঙ্গলে ঢুকে যায়।পরবর্তীতে, অধিনায়ক, টেকনাফ ব্যাটালিয়ানের (২ বিজিবি) নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা সম্পূর্ণ এলাকা অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ সময় তল্লাশী শেষে কেওড়া জঙ্গল, নদীর তীর এবং তৎসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া কর্দমাক্ত অবস্থায় দুইটি (বিশেষভাবে মোড়কজাত) বস্তার ভিতর হতে ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। তবে, এ ঘটনায় কোন অপরাধীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণ করা যায়, অপরাধীরা রাতের আঁধারে নদী সাঁতরে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে গিয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে জব্দকৃত নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট জমার জন্য প্রযোজ্য সকল প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
৪। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রম নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির এই দৃঢ় অবস্থান ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।
