ডিজি স্বাস্থ্য এর মহানুভবতায় পুণবহাল হলেন মমোকহার চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মন
সংবাদ প্রতিবেদন:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) মোঃ আবু জাফর মহোদয়ের পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেকহা) সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা ও আলোচনার অবসান ঘটেছে। কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত হওয়ায় সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ক্যানসার ইউনিটের সার্জন ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মনকে পুনরায় পূর্বের দায়িত্বে বহাল করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ডিজি মোঃ আবু জাফর মহোদয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে মমেকহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ গোলাম ফোকরুদ্দিন ডা. ধনদেবের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং সেদিনই স্মারক নং–মমেকহা/২০২৫/৬৪১ মোতাবেক তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
নোটিশ অনুসারে, ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মন ৭ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় তার জবাব দাখিল করেন। জবাবে তিনি পরিদর্শনকালে ঘটনাটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার জবাব ও সংশ্লিষ্ট নথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর প্রেরণ করে।
অফিস আদেশে জানানো হয়, মহাপরিচালক জমাকৃত সমস্ত কাগজপত্র ও প্রতিবেদনের আলোকে বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনায় ডা. ধনদেবের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় তাকে পূর্বের দায়িত্ব—ক্যানসার ইউনিট (৮ম তলা), সার্জারি বিভাগ—এ পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।
এর ফলে ডা. ধনদেবকে পূর্বের স্থায়িত্বপূর্ণ কর্মস্থল ব্যান্সম্যান্ট ইউনিট থেকে সরিয়ে দেওয়া নির্দেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ গোলাম ফেকরুদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, “ডা. ধনদেব তার আচরণ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং দাখিলকৃত ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য হওয়ায় তাকে তার পূর্বের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো।” আদেশটি জারির তারিখ থেকেই কার্যকর ধরা হবে।
অফিস আদেশটি মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য), বিভাগীয় পরিচালক, উপ-পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান (সার্জারি), প্রশাসন ও অর্থ শাখাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাটি ঘিরে হাসপাতালজুড়ে যেসব আলোচনা তৈরি হয়েছিল, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সকল বিতর্কের অবসান ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।