মিঠাপুকুরে থামছেনা অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়ে হয়রানী করছে গ্রামবাসীদের। রংপুরের মিঠাপুকুরে দীর্ঘদিন থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।
বাধা নিষেধ ও অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ অপুরনীয় ক্ষতির
মুখে পড়ছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬নং মির্জাপুর ইউনিয়নের লাটকৃষ্ণপুর গ্রামে। স্থানীয়দের অভিযোগ এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাটকৃষ্ণপুর গ্রামে শাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার দলবল নিয়ে প্রায় ২ বৎসর যাবৎ পাকা রাস্তা স্কুল মসজিদ বসতবাড়ী ও আবাদী মাঠ সংলগ্নস্থানে ড্রেজার
মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এরফলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়তে শুরু করেছে সেখানে। ইতোমধ্যে এলাকার অনেক পুকুরে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন, বসতবাড়ীতে ফাটলসহ আবাদী জমিতে পড়েছে নানা প্রভাব। কিছুদিন আগে (৩ আগষ্ট) এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভ্যাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বালু উত্তোলনকারী শাহিদুল ইসলামের এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও তাকে এক মাসের কারাদন্ড দেন।
ভ্যাম্যমান আদালতের দেয়া সাজা ভোগ করে ফিরে আসার পর অভিযুক্ত বালু খেকো শাহিদুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে আবারো আগের মত ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে চালাচ্ছেন বালু উত্তোলন। পাশাপাশি মামলা দিয়ে ৯ জন নীরিহ গ্রামবাসীকে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ করেন গ্রাবাসীরা।
বালু খেকো শাহিদুল ইসলামের দেয়া মামলায় হয়রানীর শিকার গ্রামবাসীরা হলেনঃ আঃ রউফের পুত্র আফজাল মিয়া, আফজাল মিয়ার পুত্র সবুজ মিয়া, মতিয়ার রহমানের পুত্র রিপন মিয়া, মজিবর রহমানের পুত্র মাবুদ মিয়া, ফছির উদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়া, সেকেন্দার আলীর পুত্র রেজাউল ইসলাম, আতোয়ার রহমানের পুত্র রাশেদ মিয়া, জাফর আলীর পুত্র রুহুল আমিন মাষ্টার ও চৌধুরী মিয়া।
বর্তমানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী শাহিদুল ইসলামের হুমকির মুখে গ্রামবাসীরা কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না। তারা এব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।