গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাকেন্দ্র ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’।প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মধ্যযুগের ইট-নির্মিত দুর্গ এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নবস্তু আবিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর দরদরিয়া গ্রামের ‘দরদরিয়া দুর্গ বা রানির বাড়ি’ প্রত্নস্থানটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কাজ শুরু হয়। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে দরদরিয়া দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি ও পর্যটনে আকৃষ্ট করার জন্য দরদরিয়া অত্যন্তগামিক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশ পর্যটকদের মাধ্যমে বড় রাজস্ব আয় করছে।তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কার। আজ আমরা একটা স্বপ্ন স্পর্শ করলাম। এটা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
ঐতিহ্য অন্বেষণের সভাপতি ড. নুহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আফরোজা খান মিতাসহ স্থানীয় বক্তিরা। পরে প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এবং প্রত্নতত্ত্ববিদগণ দুর্গ এলাকা ঘুরে দেখেন।
প্রায় ২৫০ বছর আগে ১৭৭৯ সালে প্রকাশিত ‘বেঙ্গল অ্যাটলাসে’ জেমস রেনেল একডালার অবস্থান দেখিয়েছেন কাপাসিয়া অঞ্চলে। প্রাথমিক জরিপে দুর্গের আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে বহিঃস্থ দুর্গ-প্রাচীর সম্পর্কে ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। বহিঃস্থ দুর্গ-প্রাচীরটি প্রায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দরদরিয়া দুর্গ প্রাচীনকালে ছিল খুবই শক্তিশালী দুর্গ।