আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষৎ, আর নয় শিশু শ্রম, এবার চাই শিক্ষা’ স্লোগান নিয়ে হেঁটে ঘুমধুম ইউনিয়ন থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়।হোক না সে আকাশ নীল কিংবা কালো মেঘে ঢাকা। আমার পথের সঙ্গী তো ওই আকাশই। কখনো বা পাহাড়, সমুদ্র অথবা নদী। আপনি কি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত? একবার নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেই দেখুন, নিজেকে একবার প্রমাণ করুন। আমরা টিভির পর্দায় বিভিন্ন চ্যানেলে অনেক বিদেশির অ্যাডভেঞ্চার চ্যালেঞ্জিং প্রোগ্রাম দেখে থাকি, কিন্তু নিজেকে সেই জায়গায় কখনো চিন্তা করে দেখেছি কি? নিজের সাধ্য অনুযায়ী তো একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়া যেতেই পারে, তাই না’? আপন মনে বলে চলছিলেন তারা পাঁচ বন্ধু।
তারা পরিব্রাজক। তারা সদ্য এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়ে উপজেলা ভ্রমণে ইচ্ছা পোষণ জাগে তাই তারা, ঘুমধুম ইউনিয়ন থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভ্রমণ করেছেন পায়ে হেঁটে।তাদের কথোপকথনে জানা যায়, নিজদের রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প। তাদের কাছে মনে হয়, মানুষের খুব কাছাকাছি যাওয়া যায় হেঁটে ভ্রমণ করলে। নানা উপায়েই তো ভ্রমণ করাই যায়। কেউ সাইকেলে ভ্রমণ করেন,কেউ অন্যান্য যানবাহন। কিন্তু হেঁটে ভ্রমণ সবচেয়ে কার্যকর যেকোনো সচেতনতামূলক বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে। আর এতে খুব কাছ থেকে সবকিছু উপলব্ধি করা যায় রোমাঞ্চকর অনুভূতি। গতকাল সকাল থেকে তারা রওনা দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পৌঁছায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়এ সময়ে তারা পাড়ি দিয়েছে ৩০ কিলোমিটার পথ।সফলভাবে ভ্রমণ শেষ করেছেন তারা উদীয়মান তরুণ শিক্ষার্থীরা। নিলয় তঞ্চঙ্গা, ভুবন তঞ্চঙ্গ্যা,রবিধন তঞ্চঙ্গা, নিমন তঞ্চঙ্গা, রাঅং ম্রো, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এসে যাত্রা সমাপ্ত করেন তারা।