রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের রমরমা ব্যবসা করছে কিছু প্রভাব শালী ব্যক্তি। এগুলোর মধ্যে একটি পুকুর খননের কাজ চলছে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নয় নং ওয়াডের হাড়োগাথী গ্রামে। উক্ত গ্রামের বাজারের পর্ব পাশে একটি একটি তিন ফসলি মাঠের উত্তর পাশে প্রায় ত্রিশ বিঘা জমি নিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। আর এই পুকুর খননের ফলে উক্ত মাঠের প্রায় আরো দুই শতাধিক বিঘা জমিতে ফসল ফলাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন কিছু কৃষক। এই মাঠের পশ্চিম দিকে রয়েছে একটি কালভাট।এই কালভাট দিয়ে আরো দুইটি গ্রামের বৃষ্টি র পানি নেমে যায় উল্লেখিত মাঠের উপর দিয়ে। এবং দক্ষিণ পাশে রয়েছে আরো একটি কালভার্ট।এই কালভার্ট দিয়ে বিলমাড়িয়া গ্রামের বর্ষার পানি নেমে যায় উল্লেখিত মাঠের উপর দিয়ে ই।
উল্লেখিত মাঠের উত্তর পর্ব কর্নারে একটি ব্রিজ আছে। এই ব্রিজ দিয়ে বর্ষার পানি বয়ে যায় খালে।কিন্তু ব্রিজের মুখেই পুকুর খননের কাজ চলছে। যার ফলে বর্ষার পানি নামতে পারবে না। এতে করে হাড়োগাথী, খামারমাড়িয়া,বিলমাড়িয় ও আটভাগ গ্রামের কৃষকগন অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।পুকুর খননকারী হচ্ছে একই উপজেলার পমপাড়া গ্রামের ইসরাফিল। পিতা মোঃ আলিমুদ্দিন।ইসরাফিল পুকুর খননের কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন নাটোরের নয়ন নামের এক ব্যক্তিকে।নয়নকে সহযোগিতা করছে হাড়োগাথী গ্রামের কিছু পাতি নেতা।যাদের চরিত্র অনেকটা পতিতার মতো। পুকুর খননের কাজে কৃষকেরা বাধা দিলে পুকুর খনন কাজে নিয়োজিত সন্ত্রাস বাহিনী বিভিন্ন রকম
হুমকি দেয়। সাধারণ কৃষক গন এখন অনেকটা অসহায়। কে দাঁড়াবে এই অসহায় কৃষক এর পাশে?
ইউ এন ও এবং সহকারী কমিশনার ভুমি এর সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় যে তারা যখন অভিযান চালায় তখন স্পটে গিয়ে কিছু পাওয়া যায় না।তাদের বক্তব্য যখন পুকুর খনন করা হয় তখন এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে পুকুর খননের কাজে নিয়োজিত যন্ত্রপাতি আটক করে খবর দিলে ব্যবস্থা নিবেন।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় পুকুর খননের কাজ শুরু করে রাত্রি ১ টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত। এবং সরকারি ছুটির দিনে। এবং পুকুর খননের সময় নিয়োজিত করা হয় সন্ত্রাসি বাহিনী। তাই কৃষক নিরুপায়। তাহলে কি বন্ধ হবে না পুকুর খননের কাজ?