শেরপুরে পুলিশের ওপর হামলা করে নাশকতা মামলার এজাহার নামীয় আসামি সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতরা হলেন এসআই শরাফত, কনস্টেবল নূর নবী, সিরাজুল ইসলাম ও আইনুল ইসলাম।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া দহপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় হামলা, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামি ও (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আওয়ামীলীগের শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে আসার সময় তার ছেলে, ভাতিজা ও পরিবারের লোকজন মহিলারা মিলে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়। তাদের মারপিটে এসআই সরাফতসহ ৪ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পরবর্তিতে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদেরকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন, এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম লিটনকে (৩৫) গ্রেফতার করেন। এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসামিকে নিয়ে আসার সময় তার ২ ছেলে, ভাতিজারা,পরিবারের সদস্য ও ২০/২৫ জন মহিলা হঠাৎ করেই পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশকে মারপিট করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানান, নাশকতা মামলার আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের সময় তার পরিবারের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।