মাছে-ভাতে বাঙালি কথাটি বেশ পুরাতন তবে আজ কথাটি আজ অর্থহীন। কয়েক যুগ আগেও বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক জলাশয়ে বিপুল পরিমাণ দেশিও মাছ পাওয়া যেত। যা অত্যন্ত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ মানবদেহের অন্য অত্যন্ত উপকারী। দেশীয় মাছ যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি প্রোটিন সোডিয়াম মিনারেলস ভিটামিন ডি সহ বিশেষ চাহিদা পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বর্তমানে বিভিন্ন পুকুরে বিলুপ্ত হওয়া প্রায় ৩০ জাতের মাছ চাষ করা হলেও তাতে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক কেমিক্যাল ও হরমন যুক্ত খাবার। যা আমাদের শরিরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমানে অনাবৃষ্টির কারণে নদীতে ঠিকমতো পানি থাকে না তাছাড়া কিছু অসাধু মৎস্য শিকারী নিষিদ্ধ চায়না জাল, কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট মাছ শিকার করা হয় । তাছাড়া শুকনো মৌসুমে অল্প পানি থাকার সময় নদীকে বাদ দিয়ে ছেকে ফেলে মাছের রেনু সহ সব ধরনের মাছের শিকার করে তাই বিলুপ্তের পথে চলে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। তিনি আরও জানান, অসাধু মৎস্য স্বীকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কিংবা মৎস্য অফিস কর্তৃক তেমন কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখেনি । ছেউটিয়া নদী পাড়ের অন্য এক বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, বর্তমানে নদী অপরিষ্কার প্রচুর কচুরিপানায় ভরপুর থাকে, চাষিরা পাট জাগ দেয়াতে পানি পচে যায়, এবং নদীর নাব্যতা কমে গেছে তাই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সকল প্রকার মাছ । এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সরকার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান গত ২১ শে মে মুজিবনগর বাবুপুর ব্রীজের নিচ থেকে ১০ পিছ অবৈধ চায়না জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়, এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার , মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন, এ সময় তিনি আরো বলেন ভৈরব নদীতে এ অভিযান চলমান থাকবে ।