বরগুনায় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। তবে বরগুনার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। হাসপাতালে থাকা আইসিইউ সুবিধাসংবলিত অ্যাম্বুলেন্সটিও অকেজো। এতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পর অবস্থা গুরুতর হওয়া রোগীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে বরিশাল বা ঢাকায় পাঠানো হয় সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সেই। এতে রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্বজনেরা।
বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও।
বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় ডেঙ্গু রোগীদের গুরুতর অবস্থা সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে মুমূর্ষু রোগীদের বরিশাল এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন আইসিইউ বিশিষ্ট হাসপাতালগুলোতে রেফার করেন। বরগুনায় আইসিইউ সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও তা নষ্ট হয়ে হাসপাতালের গ্যারেজে পড়ে রয়েছে। সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্সে যাত্রাপথেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয়।
বরগুনার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বরগুনায় ২ হাজার ৬৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বরগুনা জেলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মোট ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন।
বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হলে দ্রæত সময়ের মধ্যে আইসিইউ স্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় আইসিইউ সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. রেজওয়ানুল আলম বলেন, প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ সামাল দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আইসিইউ সুবিধার অভাবে অনেক সময় সংকটাপন্ন রোগীদের অন্যত্র রেফার করতে বাধ্য হতে হয়।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, আইসিইউ স্থাপনের বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হবে।