প্রাক্তন সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত ২৬ জন ভিআইপি বন্দী আছেন কাসিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের একটি ভবনে তাদের মধ্যে রয়েছেন আনিসুল হক, শাহজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আমির হোসেন আমু, হাজী সেলিমসহ আরও অনেকে। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব ভিআইপি বন্দীরা সকলেই জেল কোড অনুযায়ী নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। জানান, প্রথম শ্রেণির বন্দীদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে রয়েছে খাট, টেবিল ও চেয়ার। তারা বিটিভি (BTV)দেখতে পারেন এবং দৈনিক একটি জাতীয় পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান। খাবারের মেনুতে প্রতিদিন থাকে মাছ কিংবা মাংস, আর ইচ্ছা করলে কারাগারের ক্যান্টিন থেকেও খাবার কিনে খেতে পারেন।
কারাগারে রয়েছে একটি লাইব্রেরিও, যেখানে দুই হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। কারাবন্দীরা চাইলে বাইরে থেকে বই আনতে পারেন, তবে তা কারা কর্তৃপক্ষের যাচাই-বাছাইয়ের পর অনুমোদিত হলে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন জানান, পলক তার জন্য পাঁচটি বই চেয়েছেন—ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC), দেওয়ানি কার্যবিধি (CPC), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং জাতীয় সংসদে। উন্নয়নের দর্শন। এর আগেও তিনি। আবুল মনসুর আহমেদের লেখা “আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর” বইটি কারাগারে চেয়েছিলেন।
কারা তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পর কারাবন্দীদের সেল খুলে দেওয়া হয়। তখন তারা হাঁটাহাঁটি, কথাবার্তা ও অন্যান্য কাজ করার সুযোগ পান। ভিআইপি বন্দীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর, ফলে পলকসহ বাকিরাও সক্রিয়ভাবে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করছেন।।