গত ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখে মিথ্যা, হয়রানীমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ জন নেতাকর্মী শেরপুর জডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “৭ জানুয়ারীর আওয়ামী ডামি সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতা—কর্মীদের উপর যে জুলুম চালাচ্ছে সেটির আরও একটি কু—নজীর স্থাপিত হলো মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারের পাঠানোর মধ্য দিয়ে।
রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জালানী, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্যে যখন মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছে তখন অবৈধ আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য—নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের হিড়িক অব্যাহত রেখেছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দূর্বিষহ সংকট। ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সকল অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারী জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারী নিপীড়ণের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচনের পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী কতৃর্ত্ববাদী সরকার আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে এই শাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন—সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মাহমুদুল হক রুবেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান।