1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চন্দনাইশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ আসামি গ্রেফতার নিয়ামতপুর রসুলপুর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত রৌমারীতে পুলিশের অভিযানে ৫২ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক, থানায় মামলা প্রস্তুত সোনারগাঁয়ে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ১৩টি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য ইজারা দরপত্র আহ্বান পরিবেশ ধ্বংসের দায়ে সাতকানিয়ায় অভিযান পরিচালনায় দুই ইটভাটাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পরিচয় মিললো ৮দিন বয়সের শিশুটির কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক স্কুল পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের দাবি ভিত্তিহীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনা সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বার্ষিক সভায় গঠিত হলো এক্স-ক্যাপ ২০২৫ কার্যনির্বাহী কমিটি)

বিকেএসপির তায়কোয়ানডো কোচ মোঃ নুরুল এর বিরুদ্ধে ভয়াবহ অনিয়ম ও নিপীড়নের অভিযোগ

মো. নূরুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

চেহারায় সৌম্য, কথায় ধর্মীয় আবহ। অথচ এই মুখোশের আড়ালে তিনি বিকেএসপি-তে তায়কোয়ানডো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ বছরের পর বছর চালিয়ে গেছেন একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও শোষণের রাজনীতি।
জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা ওরফে রণজিৎ দাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ফেডারেশনের অন্তঃস্থলে ‘ক্রাইম কোর’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেই পরিচিত তিনি।
২০১২ সালে বিকেএসপির তায়কোয়ানডো কার্যক্রম শুরু হয় মাত্র ১২ জন ক্যাডেট নিয়ে। শুরু থেকেই কোচ নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উঠে আসে ভর্তির সময় টাকা আদায়, কমিশন বানিজ্যের বিনিময়ে সরকারি বাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, এবং খেলোয়াড়দের পারিবারিক সমস্যাকে পুঁজি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
মো. ইমন হাসান ও আকাশ শেখ—দুজনই কোচকে ৪ লাখ টাকা করে ঘুষ দেন। পরবর্তীতে কোচ রানা সাহেবকে ২ লাখ টাকা দিয়ে যথাক্রমে সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীতে তাদের চাকরি নিশ্চিত করেন।
মো. সাইমুল হাসান সাদ—মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রাশিয়ায় পাঠানো হয় খেলার জন্য। পরে আনসারে চুক্তিভুক্ত হতে গিয়ে তাকে রানা সাহেবের জন্য প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা চুক্তি মোতাবেক দিতে বাধ্য করা হয়।
মো. ইউসুফ (ক্যাডেট নং ১১)—তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে এমনভাবে নির্যাতন করা হয় যে, সে বিকেএসপি থেকে পালাতে বাধ্য হয়।
মুমিত হাসান—তার চোখে ট্রেনিং চলাকালে আঘাত লাগে। কোচ তা গোপন রাখেন এবং অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমনকি অভিভাবকের পাঠানো চিকিৎসার খরচও আত্মসাৎ করেন।
মো. রাসেল—দরিদ্র ও অসুস্থ ছাত্রকে তুচ্ছ অভিযোগে বহিষ্কার করে, তার বিরুদ্ধে সাজানো রেকর্ড তৈরি করা হয়। অভিযোগ, কোচ তার পরিবার থেকে আর্থিক সুবিধা না পেয়ে তাকে শিক্ষা জীবন থেকে ছিটকে দেন।
নানা সময়ে অভিযোগ উঠেছে, নূরুল ইসলাম মহিলা অভিভাবকদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তাদের সন্তানদের বিভিন্ন অজুহাতে বহিষ্কার অথবা কোণঠাসা করেছেন।
বিকেএসপির সকল অভ্যন্তরীণ তথ্য ফেডারেশনের বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মাহমুদুল ইসলাম রানার কাছে গোপনে সরবরাহ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বিকেএসপি দলকে অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে রানার পছন্দের দলকে জিতিয়ে দেওয়ার কাজও তিনি একাধিকবার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০১৩ সালে ব্ল্যাক বেল্ট পরীক্ষার নামে ১৪ জন ক্যাডেটের কাছ থেকে জনপ্রতি ২১০ ডলার করে আদায় করা হয়, অথচ মূল খরচ ছিল ১০৫ ডলার। বাকি ১০৫ ডলার কোথায় গেছে,তার হিসাব আজও অজানা। বিকেএসপির তায়কোয়ানদো প্রশিক্ষণার্থীরা ২০১৩ সালে ট্রেনিং ডিরেক্টর বরাবর আবেদন জানালে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটি আজও সেই সমাধান দেননি।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গুণগত মানকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া এমন এক ব্যক্তির অপকর্মের বিচার দাবি করেছেন অনেক অভিভাবক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগগুলো তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতের অসংখ্য সম্ভাবনাময় প্রতিভা এমনই অবিচারে নিঃশেষ হয়ে যাবে—বলছেন বিকেএসপির এক সাবেক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে বিকেএসপি ও বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে চেয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও, তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com