ভাঙা কালভার্টের ওপর কাঠের তক্তা বসিয়ে চলাচল করছে স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ট্রাক, পিকআপ, মহেন্দ্র, নছিমন, ভ্যান, অটো, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। কাঠের তক্তা দিয়ে কোনোভাবে ছোট যানবাহন পার হলেও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়ে গেছে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:– ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট কৈবর্ত খালি গ্রামের একটি ভাঙা কালভার্ট দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে নতুনহাট বাজার পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে প্রতিদিন নানা ধরণের যানবাহন চলাচল করলেও, অর্ধেকের বেশি ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি এখনো সংস্কার করা হয়নি।
ভাঙা কালভার্টের ওপর কাঠের তক্তা বসিয়ে চলাচল করছে স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ট্রাক, পিকআপ, মহেন্দ্র, নছিমন, ভ্যান, অটো, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। কাঠের তক্তা দিয়ে কোনোভাবে ছোট যানবাহন পার হলেও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিশেষ করে রাতের বেলা এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিকল্প রাস্তায় পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে বাড়ছে খরচ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় তিন বছর ধরে কালভার্টটি ভাঙা থাকলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সিকদারবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল মল্লিক বলেন, “এই ভাঙা কালভার্ট দিয়ে আমাদের প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”
যানবাহন চালক ও পথচারীদের দাবি, কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার না হলে শিগগিরই এই সড়কের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।