গত ০৪/০৪/২০২৫ ইং শুক্তবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় আসামী আল-আমিন (৪৫), পিতা-মৃত হানিফ মাস্টার, সাং-হাসানগঞ্জ (৪নং ওয়ার্ড), থানা-দুলারহাট, জেলা-ভোলা এর সঙ্গীয় ৩০/৪০ জনসহ দুলারহাট থানাধীন হাসানগঞ্জ ৪নং ওয়ার্ডস্থ ভিকটিম মাসুদ (৩৮), পেশা-দিনমজুর, পিতা-আব্দুল খালেক, থানা-দুলারহাট ও জেলা-ভোলাকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই আসামী আল-আমিনসহ সাথে থাকা অন্যান্য আসামীরা ঘটনাস্থল হতে দ্রুত চলে যায়। ঘটনা সংক্রান্তে ভিকটিম এর ভাই রায়হান (২৭), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-হাসানগঞ্জ (৪নং ওয়ার্ড), থানা-দুলারহাট ও জেলা-ভোলা এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুলারহাট থানার মামলা নং-০৩ তারিখ: ৫-৪-২০২৫ খ্রিঃ ধারা-১৪৩/৩৪১/৪৪৮/৩৮৫/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০২/৩৭৯/১১৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলাটির তদন্তভার এসআই (নিঃ)/নুরুল ইসলাম খান, দুলারহাট থানা, ভোলাকে অর্পন করা হয়।মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন যে, আসামী আল-আমিন ভিকটিম মাসুদ এর বাসায় গিয়ে ২,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে। মাসুদ চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আসামী আল-আমিন তাহার সাথে থাকা অন্যান্য আসামীদের নিয়ে ভিকটিম মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করে। উল্লেখ্য যে, আসামী আল-আমিন দুলারহাট থানাধীন আবুবক্করপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব। ভোলা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ শরীফুল হক, মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ দুলারহাট থানা পুলিশের একটি টিম এজাহারনামীয় ০১নং আসামী মোঃ আল-আমিন (৪৫) ‘কে ডিএমপি, ডিবির সহায়তায় ঢাকা মতিঝিল থানা এলাকা হতে গত ১৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখ রাতে গ্রেফতার করে। আরও উল্লেখ্য যে, ঘটনার দিনই দুলারহাট থানা পুলিশ ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে ০৯ জন আসামীকে ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আলামতসহ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।