1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়া গাবতলীর স্কুল ছাত্র সিফাত হত্যার মূল হোতা গ্রেফতার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকারে সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারীকরণ ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে কাঠালিয়ায় অটো শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ লক্ষীপুরে ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলি, চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১৬ জন গ্রেপ্তার ফকিরাপুলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ ফরিদপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ: ৬ দফা দাবিতে অনড় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিস্ফোরক মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার জেটের রাজবাড়ী জেলার সদস্য সচিব: ইন্জি: আব্দুল্লাহ অভি ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন কয়রায় রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখল: পুলিশের প্রতিবেদন সত্ত্বেও হুমকির মুখে ভুক্তভোগী কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে হারভেস্টারে ধান কর্তনে অতিরিক্ত টাকা আদায়

মনপুরা হাসপাতালে ৪ জন ডক্টর দিয়ে চলছে দের লক্ষ মানুষের চিকিৎসা

মোহাম্মদ মেহেদী হাসান
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালটিতে ১০১টি পদের মধ্যে ৬০টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। মাত্র চার জন চিকিৎসক দিয়ে কোনো রকম চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ২০১৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে তিন তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। উদ্বোধনের ১০ বছর পার হলেও এখনো ৫০ শয্যার আর্থিক অনুমোদন পায়নি। ফলে জনবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে চালু হয়নি নবনির্মিত ভবনটি। চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মনপুরার দেড় লাখ মানুষ। সরেজমিনে জানা যায়, চিকিৎসকের ১০টি পদের মধ্যে ছয়টি পদই শূন্য। এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, অ্যানেসথেসিয়া, ডেন্টাল সার্জন পদ দীর্ঘ দিন শূন্য রয়েছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সহকারী নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে ১৮ টি পদ-ই শূন্য। স্থানীয়রা জানায়, বিচ্ছিন্ন এই উপজেলায় প্রধান সমস্যা গর্ভবতী মায়ের মহিলাদের সন্তান প্রসব। এই উপজেলায় গাইনি কোনো ডাক্তার না থাকায় ঝুঁকিতে থাকেন গর্ভবতী মায়েরা। হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল। ফলে মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিতে অন্য উপজেলায় বা জেলায় পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুতগামী একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দাবি করছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, ৩১ শয্যার বিপরীতে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৩৭ জন । ফলে শয্যার অভাবে বাধ্য হয়ে বারান্দায় ও ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। এবং বহি বিভাগে গিয়ে দেখা যায় রোগীর সংখ্যা প্রায় ২শত এর বেশি। বহি বিভাগ ইমারজেন্সি বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগ সহ মাত্র ৪ জন ডক্টর রোগী দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন তারপরও ডক্টরদের মুখে নেই কোন বিরক্তির ছাপ। তারা যেন বন্ধু স্বরূপ আচরণ করে এই রোগী দেখছেন হাসি মুখে। মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ মা’কে নিয়ে ভর্তি হওয়া চরফৈয়জুদ্দিন এর বাসিন্দা ইব্রাহিম বলেন।আমি আমার মাকে নিয়ে প্রায় একমাস এ হাসপাতালে ভর্তি আছি কখনো আমি ডাক্তারদের মুখে বিরক্তির ছাপ দেখিনি। এক মাসের ভিতরে এমনও দিন গেছে রাত দুই টার সময় আমি ডাক্তারদেরকে কল দিয়েছি তারা দৌড়ে চলে আসছে আমার মাকে দেখার জন্য । বিনিময়ে কিছুই নেয়নি তারা। তিনি আরো বলেন, এমন কি নার্স ১০ /২০ মিনিট পর পর আমার মাকে দেখতে আসে। আমার মায়ের অধিকাংশ ঔষধ এই হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়। আমাকে বাহির থেকে খুব কম ঔষধ কিনে আনতে হয়েছে। আমি মা’কে নিয়ে ঢাকার অনেক বড়ো বড়ো হাসপাতালে গিয়েছি কিন্তু এই হাসপাতালের ডক্টরদের মতো এমন হাস্য উজ্জ্বল ব্যাবহার কোথাও পাই নি। মহিলা বিভাগে ভর্তি হওয়া রহিমা বেগম বলেন, আমি চার দিন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি, বড় ডাক্তারেরা দৈনিক দুই থেকে তিনবার আমাদেরকে দেখতে আসেন। নার্স আপাদেরকে যেকোনো সময় ডাকলে চলে আসেন। আমি আজ চারদিন হাসপাতাল আছি কিন্তু এখনো আমার ১০০ টাকার ঔষধ ও বাহিরে থেকে কিনতে হয়নাই। হাসপাতাল থেকে দৈনিক দুইবেলা আমাদের কে ভাত দেয় এক বেলা সকালে নাস্তা দেয়। পুরুষ ওয়ার্ডে সন্তান নিয়ে ভর্তি হওয়া জাফর বরিশাল প্রতিদিন কে বলেন। আমি আজকে তিনদিন আমার বাচ্চাকে নিয়ে ভর্তি আছি। আমি এখন পর্যন্ত রোগি কে নিয়ে ডক্টর এবং নার্স দের কোন বিরক্ত হতে দেখি নাই। ডক্টর প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার এসে রোগীদের কে দেখে যায়। আবার মাঝে মধ্যে যদি কোন রোগীর বেশি সমস্যা হয় তাহলে তারা দ্রুত এসে চিকিৎসা দেয়। ডক্টর এবং নার্স সবসময় চেস্টা করেছে আমার বাচ্চাটাকে হাসপাতালের ঔষধ দেওয়ার জন্য। আমি তিনদিনে বাহির থেকে মাত্র ২০ টাকা দামের কয়টা কেনলা কিনেছি। মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি। হাসপাতালটিতে জনবল ও প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে সত্যি, তবে প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ । দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি জনবল সংকট সমাধান করতে পারলেই ভালো চিকিৎসা দেওয়া যাবে। অত্র হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মোঃ মাহমুদুর রহমান এর বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বরিশাল প্রতিদিন কে বলেন। মোঃ মাহমুদুর রহমান স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সরকারি চাকরিতে জয়েন করেন। এর পর পদোন্নতি পেয়ে ক্যাশিয়ার হন ক্যাশিয়ার থেকে হেড স্ট্যান্ড হিসেবে কর্মরত আছেন। এর মাঝে তাকে বদলি জনিত কারণে ভোলা খায়ের হাটে পোস্টিং ছিল বর্তমানে আবার মনপুরা উপজেলা হাসপাতালে পোস্টিং হয়ে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তাহার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তিনি আরো বলেন নৌ এম্বুলেন্স নিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অনেকবার জানিয়েছি ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com