1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কয়রায় ব্যবসায়ীদের অঙ্গীকার: পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণ রুখতে একাট্টা হওয়ার বার্তা উপজেলা রামগতিতে অবৈধ ইটভাটার রমরমা ব্যবসা মোংলায় বজ্রপাতে মৃত্যু এক নির্ভীক কলম সৈনিক সাংবাদিক আবু হাসানের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে যুবকের কারাদণ্ড আমদানি বন্ধের অজুহাতে হিলিতে বেড়েছে চালের দাম,বিপাকে পাইকাররা পলাশবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রক্সি পরীক্ষার্থী আটক গাজীপুরের পিরুজালীতে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও বিক্রির অভিযোগ শূন্য রেখায় বিএসএফ এর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা ও বিজিবি’র বাধা প্রদান বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র আজিজ

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই ৬৭ বছর বয়সী আয়েশা খাতুনের

রাশিমুল হক রিমন
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৯০ বার পড়া হয়েছে

পাঁচ বছর ধরে   বাড়ির অন্য মানুষের  ঘরে বসবাস করেন   বিধবা আয়েশা খাতুন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা  একটি ঘরের আশ্বাস দিলেও পাননি তিনি। বরগুনার আমতলী  উপজেলার ২ নং কুকুয়া ইউনিয়নের  পশ্চিম চুনাখালীতে তার বসবাস।

আজ বৃহস্পতিবার  সরেজমিনে দেখা যায়, বিধবা আয়েশা খাতুন তার বসবাস   অনুপোযোগী জীর্ণশীর্ণ ঘরের সামনে বসে রাতে কার ঘরে থাকবেন সেই চিন্তাই করছেন  । তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর আগে তার স্বামী  মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পরে সন্তানরা তার তেমন খোঁজ-খবর নেন না।

জীবিকা  নির্বাহের জন্য আয়েশা খাতুন মানুষের কাছ থেকে পুরাতন কাপড় কিনে  তা আবার নিম্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করলে তা দিয়েই চলে তার জীবন-যাপন ।অভাব-অনটনসহ নানাবিধ কষ্ট বুকে ধারণ করে তিনি এই ১৫ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন ।

আয়েশা খাতুন বলেন তার স্বামীর রেখে যাওয়া ছোট্ট ঘরের জায়গাটাতেই তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকতে চান কিন্তু সেই ঘরে বাস করার কোন অবস্থা অনেকদিন ধরেই  নেই । আয়েশা খাতুন  অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর, জায়গা-জমি ও বাড়ি-ঘর আছে এমন মানুষকে দেওয়া হইছে।

অথচ আমার মতো হতভাগীর ভাগ্যে একটা ঘর জোটে না। আমি একটা ঘরের জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে গেছি কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই।  দিবে বলছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি ঘর পাই নাই।

কেউ এখন আর মোরে কেউর ঘরে থাকতে দেতে চায় না। এই উন্না কালে থাকতে দেলেও বইশ্যা কালে কেউ দেবে না। বইশ্যা কালে মোরে এই ঘরেই থাহা লাগবে ঘরের হগল হান দিয়া পানি পড়ে আমি হারারাইত ঘুমাইতে পারি না।

আয়েশা খাতুন  আরও বলেন, পুরাতন কাপড় বিক্রি করে  কোনোরকমে বাইচ্যা  আছি। মেলা অসুখও শরীরে। এখন আর ঠিকমতো কাজও করতে পারি না। সরকারের কাছে একটা ঘরে দাবি জানাই।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com