মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার (২৫ মে) ভোররাতে সীমান্তের কাঁটাতারের গেট খুলে তাঁদের জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। সীমান্ত অতিক্রম করে আসা ব্যক্তিদের মুজিবনগর থানা–পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন শিশু, ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ।‘চাকরি করতে গিয়ে আটক, পরে ফেরত পাঠানো’ সীমান্ত দিয়ে আসা কয়েকজন জানান, তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জীবিকার খোঁজে বিভিন্ন সময় তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাঁদের সীমান্তে এনে কাঁটাতারের গেট খুলে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।ফিরে আসা এক ব্যক্তি, রিয়াজ আলী নামের এক শ্রমিক জানান, “প্রায় চার বছর আগে নয়ডায় একটি লোহার কারখানায় কাজ করতে যাই। ২ মে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে এবং নদীয়া জেলার একটি কারাগারে পাঠায়। গতকাল রাতে হঠাৎ আমাকে একটি ট্রাকে তুলে সীমান্তে এনে ফেলে দেয়।” আইনি প্রক্রিয়ায় যাচাই চলছেমুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, “আটক ব্যক্তিরা সবাই নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তবে তাঁদের কারও কাছেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা কোনো সরকারি প্রমাণপত্র নেই। তাঁরা নীলফামারী, কুড়িগ্রামসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। তাঁদের দেওয়া নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সীমান্তে উদ্বেগ: স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কাঁটাতারের গেট খুলে এভাবে লোকজন ঠেলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সীমান্তে উদ্বেগ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নও উঠেছে। এ ধরনের ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।