ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার গণহত্যাকারী ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যশোরের রাজপথ। মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল সকাল ১১ টায় যশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের পিচ ঢালা রাজপথে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর সভাপতিত্ব দড়াটানা ভৈরব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী ও বর্বর জাতি আখ্যা দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা গাজাকে আজ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে । অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী বাহিনী গাজার শিশু, নারী ও বৃদ্ধদেরকেও নির্মমভাবে হত্যা করছে। দখলদার ইসরায়েল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে গাজার চিহ্ন মুছে ফেলতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। পরিতাপের বিষয় এই যে, গাজার বর্বারোচিত ঘটনায় জাতিসংঘসহ বিশ্ব বিবেক এখনও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। ইসরায়েলের বর্বরতা সত্ত্বেও বিশ্ববাসীর নির্লিপ্ত আচরণ ততোধিক অমানবিক।
বক্তারা ইসরায়েল জনগোষ্ঠী নামক সন্ত্রাসীদের নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, মুসলমানদের ইমানি শক্তির কাছে অতীতে সকল মুসলিম বিদ্বেষী পরাজিত হয়েছে। অচিরেই ইসরায়েল নামক সন্ত্রাসীরা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং গাজায় ইসলামের পতাকা উড়বে। সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে গাজার নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
জেলা ছাত্রদলের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার রানা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মিছিল সহকারে যোগ দেন।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পির পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ হাসান ইমাম, সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম, সিটি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে সরকারি এম এম কলেজ, সিটি কলেজ, পলিটেকনিক কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের আয়োজনে মুখে কালো পতাকা বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে সমবেত হন ছাত্রদল নেতারা। কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে সাধারন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।