বেলারুশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে ইতোমধ্যে চুক্তি এবং প্রটোকল স্বাক্ষর করা হয়েছে। বেলারুশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, আলু ও বিভিন্ন কৃষিপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকা বেলারুশে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে সফররত বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আন্দেরি ডাপকুনাসের সঙ্গে সচিবালয়স্থ নিজ দফতরে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য জটিলতাগুলো দূর হলে রফতানি বাড়বে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা দূর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশ ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছে, এখানে ইউরেশিয়া ইকোনমিক জোন করতে চাইলে বাংলাদেশ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ উন্নতমানের আলু উৎপাদন হচ্ছে। এগুলো বেলারুশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। আলুর আরও উন্নত জাত আবিষ্কার করতে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে আলু প্রসেস করার শিল্প গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে বেলারুশ বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে পারে।
সফররত বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার বলেন, বেলারুশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। কৃষি সেক্টরে যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কারিগরি সহযোগিতা, গবেষণা এবং ফুড প্রসেসিং এর মতো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বেলারুশ। দেশটির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী। আগামী দিনে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।