1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রশি টেনে নদী পারাপার চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসককে পদায়নের ২৯ দিনের মাথায় প্রত্যাহার বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী এ জেড এম রেজওয়ানুল হকের পথসভায় হাজারো নেতা কর্মীর ঢল ঢাকায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারহীনতা সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কয়রায় আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল দুই যুগে ডায়াবেটিক রোগী ৮ গুণ টাঙ্গাইল মধুপুরে মাদক সেবীকে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান গোয়ালন্দ নুরাল পাগল ঘটনায় রাজবাড়ী কোর্টে নতুন মামলা সাংবাদিকের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার দায়ে মামলা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকে আগুন

রশি টেনে নদী পারাপার

জি.এম স্বপ্না 
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চরবেড়া গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের চলাচলে ঝপঝপিয়া (গাঢ়ুদহ) নদীতে খেয়া নৌকায় রশি টেনে পারাপার হতে হয়।সেখানে একটি বড় ডিঙ্গি নৌকাই সবার কাছে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা।  চরবেড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চরবেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলঘ্ন নদীর পূর্ব পাড়ের শিক্ষার্থীদের খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হয়। সলঙ্গার চরবেড়া গ্রামের পূর্ব পাশ দিয়ে ঝপঝপিয়া নদী বয়ে গেছে। বর্ষাকালসহ আরো কয়েক মাস নদীটি পানিতে ভরপুর থাকে। আর শুকনো মৌসুমের মাস কয়েক নদীটিতে পানি বেশ কম থাকে।নদীর পশ্চিম পাড়ের গ্রামগুলো হলো চরবেড়া, তেলকুপি ,গোজা,সাতটিকরী। চরবেড়ায়  নদী পাড়ে কাছাকাছিতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর নদীর পূর্ব পাড়ের গ্রামগুলো হলো- ছোটো গোজা, চর গোজা,মানিকদায়ার,দিয়ারপাড়া, ভরমোহনী। সলঙ্গা-ধামাইলকান্দি আঞ্চলিক পাকা সড়কের চরবেড়া কবরস্থানের সামনে থেকে প্রায় একশো মিটার দুরে চরবেড়া খেয়াঘাট।  সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,  আদিকাল থেকে খেয়া ঘাটে পারাপার হতে হয় খেয়া নৌকায়। তবে শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। বিগত কয়েক বছর  খেয়া ঘাটে পারাপারে জন্য বাঁশের সাকো ছিলো।এখন না থাকায় নৌকায় পারাপার হতে হয়।এখানে খেয়া নৌকায় মাঝি কম সময় থাকেন।নদীর এপার ওপার দড়ি বাধা আছে।খেয়া নৌকার যাত্রীরা দড়ি টেনে নৌকায় পারাপার হয়ে থাকেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে ষষ্ঠি চন্দ্র তরুণীদাস চরবেড়া খেয়াঘাটে খেয়া নৌকার মাঝিগিরি করছেন বলে জানান।তিনি নগদ টাকা ও নদীর দু’পাড়ের গ্রামের বসতি পরিবারগুলোর কাছ থেকে পারাপারে বাৎসরিক ধান নেয়।বছরে প্রায় পচিশ মন ধান পেয়ে থাকেন বলে খেয়াঘাটের মাঝি জানান। চর গোজা গ্রামের বসতি মো. ইছাহাক মিয়া,তাইজুল ইসলাম, সোহেল রানা,মিলন হোসেন,শরীফ মিয়া সহ অনেকেই দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ’কে  বলেন,খেয়া নৌকায় রশি টেনেই পারাপার হয়ে যার যার নানা গন্তব্যে যেতে হয়।চরবেড়ার বিদ্যালয় দুটিতে নদীর ওপারের (পূর্ব পাড়ের)  গ্রামগুলোর বসতি পরিবারের অনেক ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করে। এরা খেয়া নৌকায়ই পারাপার হয়।এখন পানি কমেছে।খেয়া নৌকা আছে। সবাই সে খেয়া নৌকায় পারাপার হন।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অনেকেই ভরা বর্ষাকালে সন্তানদের সাথে নিজেরা  খেয়া নৌকায় পার হয়ে বিদ্যালয়ে রেখে যায় আবার বিকেলে এসে বাড়ীতে নিয়ে যান বলে জানায়। সলঙ্গা– ধামাইলকান্দি আঞ্চলিক পাকা সড়কের চরবেড়া কবরস্থানের সামনে থেকে ঝপঝপিয়া নদী পার হয়ে ভরমোহনীতে বোয়ালিয়া পাকা সড়কের সাথে এলজিইডির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।চরবেড়ায় ঝপঝপিয়া নদীর খেয়া ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর।এখানে সেতু নির্মাণ হলে সলঙ্গা-ধামাইলকান্দি সড়কের চরবেড়া থেকে ভরমোহনী হয়ে বোয়ালিয়া সড়কের সাথে সরাসরি সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে।
সলঙ্গা ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) কে. এম ওবায়দুল হক সুজন বলেন,চরবেড়ায় ঝপঝপিয়া  নদীতে সেতু নির্মাণ খুবই দরকার।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মণ্টু বলেন,চরবেড়ায় খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন, চরবেড়া খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ হলে এলাকায় সহজ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। নদীর দু’পাড়ের গ্রামের বসতি কৃষকেরা মাঠ থেকে কৃষি ফসলাদি নিয়ে সহজেই যে কোনো বাহনে পারাপার হতে পারবেন।
এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী এম শহিদুল্লাহ বলেন, চরবেড়ার নদীতে সেতু নির্মাণকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সেখানে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা দেয়া আছে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেলে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com