‘রাকসু রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছে না এটি একটি হাটুঁভাঙ্গা নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো খসড়া ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে পারেনি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা।
রবিবার (১৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শতভাগ আবাসন ও রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধনে এক বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের ৯ দফার অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি হলো ছাত্র সংসদ বাস্তবায়ন এবং তার সাথে আরেকটি প্রতিশ্রুতি ছিল লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির মূলোৎপাটন করা। আমরা মনে করছি কার্যকর রাকসু গঠনের মাধ্যমে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো সম্ভব। কিন্তু যারা এ লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চায় তারাই এ ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সুষ্ঠ ক্যাম্পাসের জন্য রাকসু নির্বাচন ও আবাসিকতা নিশ্চিত করা খুব প্রয়োজন। কিন্তু তার কোনো কিছু করা হয়নি। আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদের সময় যেসব শিক্ষক-কর্মচারী ছিল তারা সেখানেই বহাল থেকে আবার ছাত্রলীগের দোষরদের মাধ্যমে এই ক্যাম্পাসের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তারা। শিক্ষার্থীদের প্রানের দাবি রাকসু নিয়ে যেখানে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস পরিচালনা ও পুর্ণ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে।”
মানববন্ধনে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, রাকসু আমাদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ৯ দফার অন্যতম একটি দাবি। রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের যে পরিমাণ তৎপরতা প্রথমদিকে লক্ষ করেছি, নির্বাচন কমিটি গঠন করার পর থেকে তৎপরতা ততটাই কম লক্ষ করছি আমরা। গত মাসে রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন করব হলেও এখনও তারা একটি ফর্মাল মিটিং করতে পারেনি, এর চেয়ে অথর্ব কমিটি আর কী হতে পারে বলে মনে হয়? আমাদের এই আজকের আন্দোলন আজকেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমরা আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনে ফিরে যাব যতদিন পর্যন্ত রাকসু বাস্তবায়ন না হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “আবাসন সংকট সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি রোডম্যাপ দিতে হবে যে কতদিনের মধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন দিতে পারবে। যতদিন পর্যন্ত শতভাগ আবাসন আমাদের শিক্ষার্থীদের না দিতে পারবে, ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।”