পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। প্রতিদিনই বাড়ছে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য কোরবানির পশুর সরবরাহ, আর সেই সঙ্গে জমে উঠছে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমও।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রাম থেকে রাজধানীর উত্তরার হাটে গরু নিয়ে এসেছেন খামারি আব্দুল গনি। তিনি জানান, ১০টি গরু এনেছেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। তার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গরুটির নাম ‘লাল মিয়া’, যার জন্য তিনি ৪.৫ থেকে ৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছেন। আব্দুল গনি বলেন, “ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসা, হাটে তোলা, খাওয়ানো—সবকিছুতেই আমাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়। গরুর দড়ি ধরে থাকা, সামলানো আর গোবর পরিষ্কার করতে করতে হাত পরিষ্কার রাখাই যায় না।”
তবে হাটে বিদ্যুৎ, খাবার পানি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাই বলে অভিযোগ সকল বিক্রেতার। বৃষ্টির কারণে কাদা ও পিচ্ছিল অবস্থায় চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে। দৈনিক দেশ বুলেটিনের পক্ষ থেকে ইবনে জুবায়ের সানজিদ হাটে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
অন্যদিকে, ক্রেতারা জানাচ্ছেন, বাজারে গরুর দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা চড়া হলেও ভালো মানের পশু পাওয়া যাচ্ছে।দেশের খামারিরা চান ভারতীয় গরুর আগমন বন্ধ হোক,এ বছর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু না এলে দেশীয় খামারিরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকবেন বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রতিবছর আমদানি বা চোরাই পথে ভারতীয় গরু এলে দেশীয় গরুর চাহিদা কমে যায়, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন খামারিরা।খামারি আব্দুল গনি বলেন, “দেশে এত খামার গড়ে উঠেছে, এখন আর বাইরের গরুর দরকার পড়ে না। ভারত থেকে গরু না আসলেই আমরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশেই এখন পর্যাপ্ত গবাদি পশু উৎপাদিত হয়, তাই কোরবানির সময় স্থানীয় খামারিদের উৎসাহিত করাই হবে অর্থনৈতিকভাবে সুফলদায়ক ও টেকসই একটি পদক্ষেপ।