২০২১ সালের ১৪ জুলাই, রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে হত্যার মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই রাজশাহীকে দেওয়া হয়। পিবিআই প্রধান মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় এবং পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে তারা ২০২৪ সালের ১৩ মে দুপুরে পুঠিয়া থানার মোল্লাপাড়া গ্রামের মদিনা ইটভাটা থেকে অভিযুক্ত উত্তম কুমার সরকার (৩৭)কে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম কুমার স্বীকার করে যে, হত্যার দুই মাস আগে ভুক্তভোগী আতেকা তার জমির উপর দিয়ে ট্রলি নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গালিগালাজ করেছিল এবং হাতুড়ি দিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছিল। এই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে পরিকল্পনা করে। পরে একদিন আতেকাকে মাঠে ছাগল চরাতে দেখে সে বাঁশের লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং পড়ে গেলে তার নিজের হাতুড়ি দিয়ে গলায় কোপ মারে। রক্তাক্ত জামা ধুয়ে ফেলে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
১৪ মে আদালতে হাজির করে উত্তম কুমারকে ২ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার স্বেচ্ছাকৃত স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
পিবিআই সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ তদন্তের পর আমরা এই মামলার সত্যতা উদঘাটন করতে পেরেছি। আসামির স্বীকারোক্তি ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া চলছে।”
এই সাফল্যে পিবিআইয়ের দক্ষতা ও আধুনিক তদন্ত পদ্ধতির ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।