তানোর উপজেলার ১৪৪ধারা উপেক্ষা করে বাড়ি নিমানঢালাইয়ের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের আদেশের ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করলেও প্রভাবশালীরা এসবের তোয়াক্কা করছেন না। ফলে, অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী ওই সংখ্যালঘু। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার সদরের হিন্দু পাড়া মহল্লায়।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শি ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, তানোর মৌজা, জে-এল নং ১৪৪, আরএস খতিয়ান ৩৩৭, প্রস্তাবিত খতিয়ান ১৬৫৯, রকম বাড়ি (বর্তমানে ফাঁকা জায়গা) ৯৩ শতকের কাত সাড়ে ২৪ শতক এবং ৩৩৮ নং খতিয়ান, দাগ ১৭৬০, রকম ধানী, সাড়ে ৫১শতক জমির মুল মালিক নারায়ন চন্দ্র দাসের কাছ থেকে একই গ্রামের শ্রীমতি হারানী রানী দাস ক্রয় করেন। জাহার দলিল নং ২১০৬৮, তারিখ: ২১/০৪/১৯৭৫ উক্ত জমির ওয়ারিশ সুত্রে একমাত্র সন্তান নিমাই কান্ত দাসের কাছ থেকে গোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত করুনা কান্ত সাহার পুত্র বিশ্বনাথ চন্দ্র সাহা বিক্রয় করেন। (যাহার দলিল নং ৩৫৫০, তারিখ ২৯/০৮/২০২১)। উক্ত জমি বিশ্বনাথ চন্দ্র সাহা কাজনা খারিজ ও হোল্ডিং খুলে ডিসিআর সম্পূর্ণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। গত ৬ ডিসেম্বর সংখ্যালঘু বিশ্বানাথের দখলীয় জমিতে পার্শ্বের জমির মালিক ওসমান আলী ও তার পুত্র বাবুল জবর দখল করে সেখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি খুড়তে শুরু করেন। এসময় বিশ্বনাথ চন্দ্র সাহার বর্গাদার আবুল কালাম বাঁধা নিষেধ করলে তাকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষ ওসমান আলী ও তার পুত্র বাবুলসহ তার লোকজন।এঘটনায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার সার্থে বিশ্বনাথ চন্দ্র সাহা বিবাদীদের বিরুদ্ধে জেলা রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ১৪৪ ধারা জারি করে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীগন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাতে বিল্ডিং বাড়ি নির্মানের জন্য ভীত ঢালাইয়ের কাজ করছেন।এবিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আদালতের আদেশ জারির জন্য তানোর থানার এএসআই খাইরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এএসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশ জারি করে বিবাদীদেরকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যদি কেউ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।