সমন্বিতভাবে কাজ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে থাকা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে থাকা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মুক্তিপণের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি কিছুটা অরক্ষিত ছিল। তাদের কাছে অস্ত্র ছিল না। তাদের অস্ত্র রাখার অনুমতি ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। এরপরে তারা আর অনুমতির জন্য শিপিং করপোরেশনে আবেদন করেনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের কাছে একটা প্রস্তাবনা দেব কীভাবে বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য সমুদ্রপথ নিরাপদ থাকে।
গত ১২ মার্চ কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালী জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে তারা। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতা। এরপর গতকাল রোববার জাহাজটির মালিক এসআর শিপিং করপোরেশন নাবিকদের মুক্তির খবর জানায়।
এদিকে ঈদের দিন সদরঘাটে রশি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।