সিলেটে ৫ দফা দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ শিক্ষার্থীরা।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেটের সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দূর করা, রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলায় আটক শ্রমিকদের মুক্তি এবং ২০২১ সালের চৌহাট্টায় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহার করা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অন্যান্য যাত্রীরা। এ ছাড়া পর্যটন নগরী সিলেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও আটকা পড়েছেন। সকাল থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলীবাজার বাইপাস ও চন্ডিপুল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পরিবহন শ্রমিকেরা গাড়ি আটকে দিতে দেখা যায়। এ সময় পরীক্ষার্থী, রোগী ও বিদেশ যাত্রীদের বহনকারী যান ধর্মঘটের আওতামুক্ত বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
বিয়ানীবাজার থেকে জরুরি কাজে সিলেট নগরীতে আসা তাহির হোসেন বলেন, আমি ৪০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল ভাড়া করে সিলেট শহরে এসেছি। সিএনজি বা বাসে ৪০ টাকায় আসা যেত।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন বলেন, সিলেটে বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গ্যাস পাচ্ছেন না পরিবহন শ্রমিকরা। গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও সমাধান মিলছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘট পালন করছি।