ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ১৩ নং ফুরসন্দি ইউনিয়নে ১২০ নং মিয়াকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। ১২০ নং মিয়াকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা। মোছাঃ সেলিনা বেগম এর নামে উঠে আসেন এসব দুর্নীতি ও অভিযোগের কথা। এলাকাবাসীর দাবি গত ১ জানুয়ারি 2025 এ স্কুলে বই বিতরণ করার সময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ছবিসহ ব্যানার ব্যবহার করে বই বিতরণ করেন। এছাড়াও বাচ্চাদের দিয়ে ক্লাস রুম এবং টয়লেট ও স্কুল মাঠ পরিষ্কার করার অভিযোগ উঠে আসেন। এসবের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানে আমরা যাই যেয়ে দেখি। বাচ্চাদের দিয়ে ক্লাসরুম পরিষ্কার করানো হচ্ছে এবং টয়লেট স্কুল মাঠ পরিষ্কার করানো হচ্ছে। এ সময় বাচ্চাদের কাছে শুনলে বাচ্চারা বলেন ঠিকমতো ক্লাস হয় না স্কুলে আসলে শুধু কাজ করায়। এছাড়াও স্কুলে গিয়ে জানা যায় ২০২৩ সালে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে ইস্কুলে একটি বাজেট আসে ওইখানেও প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ সেলিনা বেগম এর দুর্নীতির কথা উঠে আসেন। এসব তথ্য ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ সেলিনা বেগম এর কাছে শুনলে প্রথমে উনি আমাদের সাথে কথা বলতে চাননি। পরে সবকিছু অস্বীকার করেন। বাথরুমে গিয়ে দেখা যায় বাচ্চারা বাথরুম পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এ সময়ে বাচ্চাদের কাছে শুনলে বাচ্চারা বলেন। ম্যাডাম আমাদেরকে পরিষ্কার করতে বলেন। না করলে মারার ভয় দেখায়। বাচ্চাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বাচ্চারা আরো বলেন ১ তারিখে বই বিতরণ করার সময় স্বৈরাচার খুনি হাসিনার ব্যানার ব্যবহার করে বই দেয়। এবং স্কুলে গিয়ে জানা যায় 2023 সালে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে ইস্কুলে একটি বাজেট আসে ও একটি স্লিপের টাকা আসে। ওই বাজেট দিয়ে রংও গ্রিলের কাজ করলেও সেখানে ও দুর্নীতি করেন। ৩০০ কেজি রড লাগানো হলেও ভাউচারের ৫৫২ কেজি রড লেখেন। এলাকাবাসী বলেন আনুমানিক ৩০০ কেজির বেশি হবে না। এসব সকল তথ্যই তিনি অস্বীকার করেন। ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। স্কুলে আসতে দেরি করে। এ সময় শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বললে উনি বলেন আমি এসব বিষয় জানিনা।