যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। দাম বাড়তেই আছে । এতে চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষের।কাচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরবরাহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ডিম ও মাংসের বাজারে।
যশোরের কৃষকেরা জানান, তীব্র গরমের কারণে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে। আর ক্রেতারা বলেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। অসহায় ক্রেতাদের আছে মহাবিপদে।
রবিবার যশোরের সদর থানার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি রসুন ২০০ টাকা থেকে ২২০টাকা , শসা ৬৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, টমেটো ৭৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, লতি ৬৫ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ঝিকরগাছা, শার্শা, কেশবপুর , বাঘারপাড়া, চৌগাছা উপজেলার সব বাজারের দাম প্রায় একই।
বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ দাম ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর বাজারে ডাটা শাকের আঁটি ২০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মাছের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
এদিকে মধ্যবিত্তরা পারছে না সহ্য করতে আবার পারছে না কথা বলতে।নিম্ন মধ্যবিত্তরা টিসিবির পণ্যের জন্য বসে থাকে কবে পাবে একটু কম দামে । আর স্বল্পআয়ের মানুষের দুঃখ এখন সীমাহীন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক ব্যয়বৃদ্ধিতে কষ্টে আছেন এবং দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।