মামলা বাণিজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শীর্ষ অপরাধী ও পুলিশের সোর্স আরিফ হোসেন হারিছ। সে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাসানচর গ্রামের আব্দুল আজিজ বেপারীর ছেলে।জানা যায়, ১৯৯০ সালে বাড়ি থেকে পাড়ি জমান ঢাকা মিরপুর। সেখানে সে নেশাদ্রব্য থেকে শুরু করে সবধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে নারী, শিশুসহবিভিন্ন মামলা হয়। ঢাকা পল্লবী থানার চাঁদাবাজি মামলা নং ৯/১২, মিরপুর শাহ আলী থানার নারীও শিশু নির্যাতন মামলা নং ১৪/১১, পল্লবী থানার অস্ত্র মামলা নং ৮৪/১৯, পল্লবী থানার চাঁদাবাজি মামলা নং ৪৬/১০ ও মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগের তারিখ ৪/৯/১৮ । সিরাজদিখান সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগের তারিখ ৪/৯/১৮, সিরাজদিখান থানার চুরি মামলা নং ১২/১৮, ঢাকা মিরপুর শাহ আলী থানারচাঁদাবজি মামলা নং ৩২/১৩ সহবিভিন্ন মামলার আসামী এই হারিছ। এরপর মিরপুর থেকেও পালিয়ে চলে আসে সিরাজদিখান থানা এলাকায়। কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা ও – সেবনের সাথে জড়িত ছিল এ আরিফ হোসেন হারিছ। আরও জানা যায় এলাকার মানুষকে হুমকি ধামকি ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মার্ডার মামলায় ঢুকানোর বিষয়ে এক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আরও জানা গেছে নতুন ভাসানচর গ্রামের একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন তাই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধোলাই দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আরিফ হোসেন হারিছকে একাধিক বার ফোন দেওয়ার পরেও তাকে পাওয়া যায় নাই। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।