পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নৌকা এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।
পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদকে শোকজ নোটিশ দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা-৩ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজউল ইসলাম এই নোটিশ দেন।
আসনটিতে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন। অন্যদিকে আব্দুল হামিদ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি এবার উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
দুই প্রার্থীকে দেওয়া পৃথক শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি (আপনারা) নৌকা ও ট্রাক প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। আপনাদের নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প করেছেন, যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম। আপনাদের এমন কাজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকা পাবনা-৩ অধিক্ষেত্রের রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন মর্মে আপাতদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়েছে।
আইনভঙ্গের কারণে কেন আপনার (আপনাদের) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেল ১১টায় সশরীরে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর খাস-কামরায় উপস্থিত হয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় আপনার ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মকবুল হোসেনের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে সাংবাদিক পরিচয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ বলেন, নোটিশ এখনো হাতে পাইনি। অধিক নির্বাচন ক্যাম্পের বিষয়টি নজরে আসেনি। কর্মী-সমর্থকরা করতে পারেন। তবে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কর্মী-সমর্থকদের আইন মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হবে। আর নোটিশ পেলে যথাসময়ে জবাব দেওয়া হবে।