করাব রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সরকারী বরাদ্দকৃত পিবিজিএসআই(PBGSI)স্ক্রীমের ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ।
এ স্ক্রীমের তথ্য করাব রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি তত্ত্ব দিতে রাজি হন না।এ সময় সাংবাদিক বিল্লাল আহমেদ বললেন উত্তর দিতে সমস্যা কি ভাই,এমন সময় সকল শিক্ষকরা সাংবাদিকের উপর ক্ষেপে বলেন তুমি আমাদের সুপারকে ভাই বললে কেন।এই কথার জের ধরে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা বন্ধ করে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে।এমন সময় শিক্ষক আব্দুল মোতালেব পারভেজ হাসানের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চিনিয়ে নেয় এবং শিক্ষক আব্বাস উদ্দীন, নজির মিয়া,খন্ডকালীন শিক্ষক আবুল খায়ের,শিক্ষক ইসমাইল মিয়া সহ সাংবাদিক বিল্লালের উপর হামলা করে।পরে সেখান থেকে বাচার জন্য কোন রকম বের হয়ে আসে সাংবাদিক বিল্লাল আহমেদ। এসে ফোন দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল মেম্বার ও ফাইজুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে অবস্থা শান্ত করেন। এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল মেম্বারের সহযোগিতায় কোনরকম সেখান থেকে আসতে পারে পারভেজ হাসান। এবং পরের দিন ফেসবুকে ব্ল্যাক মেইলকৃত ভিডিওটি চাদা চাওয়ার নামে বিভিন্ন ছাত্রলীগ কর্মীর আইডি থেকে পোস্ট করতে থাকে। পিবিজিএসআই এর তথ্য অনুযায়ী বরাদ্দকৃত টাকা যে সমস্ত খাতে ব্যয় করার কথা শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ টাকা,বইপত্র লাইব্রেরী,শিক্ষা উপকরণ,এবং গবেষণা সরঞ্জাম ইত্যাদি, ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের কমনরুম শৌচাগার ১লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা ব্যয় ৭৫ হাজার টাকা,প্রতিবন্ধী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৫০ হাজার টাকা, যার কাজের কাজ কিছুই হয়নি মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার দুর্নীতির ব্যাপারে কয়েকজন মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, ওই মাদ্রাসার সকল শিক্ষাগন দুর্নীতির সাথে জড়িত তারা মাদ্রাসার প্রশংসাপত্রের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়েছে বলে একজন শিক্ষার্থী দাবি করেন। ২০ জানুয়ারি মাদ্রাসায় তথ্য আনতে যাওয়ার আগে রাতে মাদ্রাসার সাবেক মেনেজিং কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন মলাইয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এটা রাসুলুল্লাহর ঘর,মাদ্রাসার হুজুররা গরিবভাবে জীবন যাপন করে, তাই আমি বলব মাদ্রাসা নিয়ে লেখালেখি করিও না,পূর্বে যা হবার হইছে।পরে বললে আমরা আগামীকাল মাদ্রাসায় আসব আপনি থাকবেন উত্তরে তিনি বলেন আমি আগামীকাল এক জায়গায় চলে যাব তবে তোমরা আসো আমি থাকতে পারবো না। এ ব্যাপারে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফাইজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মাদ্রাসায় এমন প্রকল্প আসছে আমি পূর্বে জানিনি এই টাকা কি করছে সেটাও আমি জানিনা তবে ঘটনার দিন জানতে পারছি। এ ব্যাপারে সাবেক ম্যানেজিং কমিউনিটি সদস্য দুলাল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করে জিজ্ঞেস করলে সাংবাদিকেরা যে মাদ্রাসায় গিয়েছিল বিলাল ভাই অফিস থেকে আসার পরে আপনি ছিলেন,সাংবাদিকরা কি কোন ধরনের চাদা চাইছে এমন কোন কথা কি শিক্ষকের বলেছিল -উত্তরে তিনি বলেন না। এমন কোন কথা হয়নি। এ ব্যাপারে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাহার মেম্বারের সাথে সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কয়েকটি পুরাতন ব্রাঞ্চ রং করেছে এর চেয়ে বেশি কাজ করেছে বলে আমার জানা নেই। ৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ কি করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের গ্রামের পান্না ব্যাডার ছেলে আব্বাস মৌলভী এবং মাদ্রাসার সুপার মিলে টাকা পয়সা আত্মসাৎ সহ সকল কাজ করে থাকেন। তারা ঐ এ ধরনের কাজ করে। সাংবাদিক মহল বলেন সাংবাদিকেরা তথ্য আনতে গিয়ে ব্লাক মেইল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তাই বলে সাংবাদিকদের কলম বন্ধ থাকবে না।সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা চাকরি করতেছে, সৎ সাহসী গণমাধ্যম কর্মীদের নামে বদনাম করার জন্য স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। দেশ ও দেশের বাহিরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরা ফেসবুকে মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দিচ্ছে। বিএনপির নাম ব্যবহার করেছেন। এই সমস্ত স্বৈরাচারের দোসরদের কাছে প্রশ্ন একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজদের কাছে তথ্য চাইতে গেল দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি’র নাম আসলো কেন? ১৭ বছর কথায় কথায় গায়েবি মামলা দিয়েছো এখনও মিথ্যা গায়েবি মামলা করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে মিথ্যা মামলা করার। এব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলামের সাথে ২২ জানুয়ারি ফোনে যোগাযোগ করলে,তিনি বলেন সাংবাদিক এবং শিক্ষকদের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এবং সাংবাদিক বলেন আমাদের রস বের করবে।বাহিরের মানুষ শুনবে বলে আমরা দরজা বন্ধ করেছিলাম। কোন ধরনের চাঁদা চেয়েছে কিনা জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন ওই ধরনের কোন কথা হয়নি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক নজির মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সাংবাদিক শিক্ষকের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে কিন্তু কোন ধরনের চাদার কথা হয়নি।