নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদ অনেকটা বেড়েছে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলার প্রায় ৩২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবদ হয়েছিল। এ বছর প্রায় ৫শত হেক্টরে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১শত হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় কৃষকরা।
এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে দুর্গাপুর উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই ২হাজার ৫শ জন কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ১কেজি করে সরিষার বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়। কৃষি প্রনোদনা দেয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর সরিষার ফলনও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ভোজ্যতেলর আমদানী নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে। সেইসাথে কৃষক সরিষার ভালো দাম পেয়ে লাভবানও হবেন। দুর্গাপুর ইউনিয়নের বারমারি, ভবানীপুর, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর, বামনপাড়া, কাকড়াকান্দা, গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া, নাওদাড়া চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাও, ফুলপুর, কেরণখলা, ফেঁচিয়া গ্রামের কৃষকগণ সরিষা আবাদ করেছেন।
কৃষক হযরত বেপারি বলেন, কৃষি বান্ধব সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রনোদনা দেয়ার জন্য। আমরা বিনামুল্যে সার, বীজ পাওয়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহ হয়েছি। শুধু তাই নয়, সামনের মৌসুম থেকে আমাদের এলাকার অনেক কৃষক মধু চাষেও আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা কামরুজ্জাসান জানান, এ বছর আবহাওয়া সরিষা আবাদের অনুকুলে ছিল। তাই বিভিন্ন এলাকার কৃষকগণ সরিষার আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশ-পাশের কিছু কৃষক মৌ চাষের মাধ্যমে মধু সংগ্রহতেও আগ্রহী হয়েছে। ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমন হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে ধারণা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস জানান, এ বছর দুর্গাপুর উপজেলায় প্রায় ৫শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১শত হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। সরিষার পাশাপাশি মাল্টা চাষেও বাম্পার ফলন হয়েছে দুর্গাপুরে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময়ই কৃষকদের পাশে থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে।