পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে রিফাত নামের একটা ছেলে, বয়স ২৩। স্থানীয়রা তাকে গণধো*লাই দিয়ে পুলিশে দেয়। খুবই নিতান্ত একটা ঘটনা এখনকার সময়ে তাই না? এবার আসেন ক্লাইম্যাক্স এ, পরে পুলিশ ছেলেটা কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মোবাইল চেক করতে থাকে। এবং অন দ্যা স্পট ছেলেটার মোবাইলে এক তরুণীকে বেঁধে রাখা ও নির্যাতনের ভিডিও দেখতে পায় পুলিশ। পরে পুলিশ ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে ছেলেটা বলে, গত ১৩ জানুয়ারি রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে (২৭) ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল সে এবং তার ২ বন্ধু। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবি-ভিডিও উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওই তরুণীর সঙ্গে ছেলেটার পরিচয় হয়। এরপর আটোয়ারীর কিসমত স্টেশনে নামিয়ে পাশের এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরুণীর যৌনাঙ্গ, স্তন সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কে টে হত্যা করে এবং এই কা*টাকাটির সময় সেটা তারা মোবাইলে ভিডিও করে রেখে দেয় এবং পরে মরদেহ রেললাইনে ফেলে যায়। পরদিন কিসমত এলাকায় রেলাইনে ক্ষতবিক্ষত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন। তো দেশের অবস্থা বুঝতেছেন? মানুষের চেয়ে যেনো লাশের সংখ্যা বেশি। এতোই বেশি যে কোনটা কার লাশ তাও চেনা দায়, হাতের কাছে যে বা যার লাশ পাচ্ছে সেটাই নিজের মনে করে দাফন করে দিচ্ছে।