টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে আয়োজিত মানববন্ধনের পরে গিয়াস সরকারের বাড়িতে হামলা,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার এলাকায় এই অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন,উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালীয়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে নাঈম(২৬),মৃতরক্ষার ছেলে সবুজ (৫০)ও জইরার ছেলে বাবুল (৪০)।অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গিয়াস সরকারের পুত্রবধূ জাকিয়া আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলায় ভাঙঁচুর-অগ্নিসংযোগে ৩৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে ১৮ লাখ টাকার সম্পদ লুট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।জাকিয়া আক্তার বলেন,একটি মারামারির ঘটনায় আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।ইতিমধ্যে আমার স্বামী ও উকিল শশুরকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।কিন্তু তারপরও উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে প্রতিপক্ষ মানববন্ধনের নামে লোকজন জমায়েত করে আমাদের বাড়িতে হামলা,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।তাদের দেয়া আগুনে আমাদের দূ’টি ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে।এছাড়া দূ’টি ঘরে ভাঙঁচুর চালানো হয়েছে।সেখানে বসবাসের মতো পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানান।উল্লেখ্য,গত শুক্রবার গিয়াস সরকারের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দূ’জনের মধ্যে তর্ক বির্তক হয়।একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী(৫৫)।মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।সেই ঘটনার সূত্রধরেই পরবর্তীতে মানববন্ধন ও গিয়াস সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.মোশারফ হোসেন বলেন,এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।