আনোয়ারা উপজেলার ১১ নং জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃইদ্রীসের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের সিনিয়র সচিব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের ৯ জন্য সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।
জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ৯ জন্য ইউপি সদস্য।
১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় সিনিয়র সচিব স্থানীয়সরকার বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ও ১৮ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে অনাস্থা প্রকাশ করেন তারা।
অনাস্থা প্রকাশ করে অভিযোগ প্রদানকারী ২নং ওয়াড়ের মেম্বার মোঃ নুর নবী ও ৩ নং ওয়াড়ের কফিলউদ্দিন বাবু বলেন, গত ২ বছর ধরে পরিষদে আমরা ন্যুনতম সম্মানটুকু পাইনি। বসার জন্য চেয়ার পর্যন্ত পাইনি। ইউনিয়ন পরিষদের যে ভাতা সেটা ও পাইনি। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প আসলেও আমরা কোন কাজ পাইনি। আমাদেরকে না ডেকে তিনি নিজের মতো করে নিজের লোকজন কে বন্টন করেন।
সংরক্ষিত ১,২,ও ৩ নং ওয়াড়ের রুবি আকতার ও ৪,৫,ও ৬ নং ওয়াড়ের শারমিন হাক শেফু এবং ৭,৮,ও ৯ নং ওয়াড়ের রুবিনা আকতার বলেন পরিষদের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ও ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বা সমঝতা না করে তিনি ইচ্ছা মতো সিদ্ধান্ত নেন এবং কোন প্রকল্প আসলে সদস্যদেরকে জোরপূর্বক ডেকে এনে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। তারপর নিজের লোকজনের মাঝে দিয়ে দেন।
পরিষদে আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।তাই বাধ্য হয়ে আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহিন। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আমি আমার নামে কোন উন্নয়ন মূলক বরাদ্দকৃত প্রকল্প পাইনি। তা হলে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে কি করে? নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে পরিষদ পরিচালনা করে আসছি।
আনোয়ারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইশতিয়াক ইমন বলেন এ ব্যাপারে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করব।তদন্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।