বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম সিয়াম মোল্লা (২৫)। উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট এলাকার বাসিন্দা রিপন মোল্লার পুত্র সিয়ামকে সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গুলিবিদ্ধ অপর যুবক একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লাকে (২৭) গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ও আরেকজনের আহত হওয়ার এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি আগৈলঝাড়া কিংবা গৌরনদী থানা পুলিশের দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলিবিদ্ধ একটি লাশ রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। তবে ঘটনাস্থল পাশের উপজেলা আগৈলঝাড়ায় হওয়ায় বিস্তারিত কোনো তথ্য জানতে পারিনি। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম জানান, সাহেবেরহাটে গোলাগুলি হয়েছে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে না পৌঁছা পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে সাদা পোষাকে অভিযানে গিয়েছিল র্যাব-৮ এর একটি দল। সেখানে র্যাবের ওপর হামলা হলে আত্মরক্ষার্থে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। এতে সিয়াম ও রাকিব গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এছাড়া হামলায় আহত র্যাব সদস্য জাকির হোসেন (৩৫) আগৈলঝাড়ার গৈলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৈলা হাসপাতালে র্যাবের সিপাহী জাকির হোসেনের চিকিৎসাধীন থাকার প্রমাণ মিলেছে সেখানকার ভর্তি রেজিস্টারে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবের ছোড়া গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি র্যাব-৮ এর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। অপারেশন অফিসারের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা কেটে দেন। ঘটনাস্থলে থাকা আগৈলঝাড়া থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাদা পোশাকধারী একদল লোক উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় গওহর হাওলাদারের বাড়ির সামনে গেলে সন্ত্রাসী ভেবে তাদের ওপর হামলা হয়। পরে জানা যায় যে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। হামলা থেকে বাঁচতে গুলি ছুড়লে ১ জন নিহত ও আরেকজন আহত হন। তবে অভিযানে কারা এসেছিল তা নিশ্চিত হতে পারিনি। যারা হতাহত হয়েছেন এলাকায় তারা কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।