বছর ঘুরে আবারো আমরা মুসলিম জাতি ” পবিত্র রমজান ” মাসের দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছি। সিয়াম সাধনার এই পবিত্র মাসকে মহান আল্লাহতাল্লাহ বিশেষ মর্যাদার মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসকে মাগফেরাতের মাস বললেও ভুল হবে না। কারণ- আপনি ভোর রাতে কোরান- সুন্নাহর নিয়ম মোতাবেক সেহেরি খাওয়ার পর যথা সময়ে জামাতের সাথে সালাত আদায়ের মধ্যে আছে মাগফেরাতের সুবর্ণ সুযোগ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইফতারের অন্তত ১৫/২০ আগে ইফতার তৈরী করে নাড়া-চাড়া করে করে ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে এবং ইফতারের পরে আল্লাহর কাছে দু হাত তোলে যে দোয়া করবেন, ইনশাল্লাহ সে দোয়াই কবুল হবে।
এ ছাড়াতো সারা-দিন- রাত মাগফেরাত কামনার জন্যআছে। এই পবিত্র মাসে আল্লাহসোবাহানুতাল্লাহ তার বান্দাদের আরো একটা বিশেষ মাগফেরাত পাওয়ার সুযোগ রেখেছেন। তা হলো৷ ” যাকাত “। আপনার সারা জীবনের – বছরের আয়কে বৈধতা বা হালাল করার জন্য. এই যাকাত একটা সম্ভব সুযোগ। এখন প্রশ্ন, যাকাত কাকে দিবেন? প্রথমতঃ আমরা নিজেরা যদি যাকাতের ব্যাপারে কম জানিবা বুঝি, তাহলে , কোরান- হাদিস জানে ও বুঝে এমন একহন অভিজ্ঞ ( মৌলানা বা হুজুর নয়) আলেম সাহেবের সাহায্য নিতে পারি। দ্বিতীয়তঃ আমাদের জানামতে, আমরা যাকাতের টাকা বা কাপড় অথবা অন্য যে উপায় অবলম্বন করি না কেন,, প্রথমে নিজের বাপের রক্তের মানে একই মায়ের আপন ভাই- বোন যদি আর্থিকভাবে গরীব থাকে, তাদেরকেই আমরা নিশ্চিন্তে যাকাতের উচিলায় সাহায্য করতে পারি। এরপরে অন্যান্য আত্নীয়- স্বজন। মানে ইসলাম সব সময় নিজের আপনজনদেরকেই আগে মূল্যায়নের কথা বেলেছে। এই যাকাত যদি আমরা সঠিক নিয়মে দিই, এটাও আল্লাহর কাছে মাগফেরাত পাওয়ার অন্যতম উপায়। আল্লআহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে সিয়াম সাধনার তৌফিক দান করুক এবং সেই সাথে সঠিক নিয়মে যাকাত আদায়ে করে পরকালের মুক্তির পথ সুন্দর করুক। আমিন।