শনিবার (২৪মে) সকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার,চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ব্যোতলা গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিল মাস্টারের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ (২৫) নামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী বসতঘরের ধর্ণার সাথে গলায় রশির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবার সদস্য ও এলাকাবাসীরা জানান: সোহাগ হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রায় ২ মাস আগে পার্শ্ববর্তী দলগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহুরুল হকের মেয়ে চায়না খাতুনের সাথে সোহাগের বিয়ে হয়।বিয়ের সময় শ্বশুড় বাড়ী থেকে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, দামী মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ ও আসবাবপত্র সহ অনেক কিছু যৌতুক হিসাবে দেয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই সোহাগ নেশা করার কারনে চায়না খাতুন মেনে নিতে না পারায় স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া কলহ শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার একদিন আগে সোহাগ তার স্ত্রীকে আনার জন্য শ্বশুড় বাড়ি যায়। সেখানে স্ত্রী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের সাথে কথার কাটাকাটিসহ ঝগড়া-ঝাটি হয়। এক পর্যায়ে সে স্ত্রীকে রেখেই একাই বাড়ী চলে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতে হয়তো সে আত্মহত্যা করতে পারে। এলাকাবাসিরা আরও জানিয়েছেন, সোহাগ খুব মেধাবী ছাত্র ছিলো। তবে, কিছুদিন থেকে সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। বাবা মায়ের অতিরিক্ত আদর-যত্নের করনেই সোহাগের এমন পরিনতি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, স্ত্রীর দাবী সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ও অন্যান্ন জিনিসপত্র সোহাগের বাবার কাছ থেকে নিয়ে মেয়েকে ফেরৎ দেয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার এসআই নুরুল হক ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে, মৃতের স্ত্রীর দাবী না থাকলেও সোহাগের স্বজনদের দাবীর প্রেক্ষিতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, এ ব্যপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।