সোমবার (২১ জুলাই) পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি আধুনিক বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত এই ন্যায়কুঞ্জে রয়েছে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক উন্নতমানের ওয়াশরুম, মাতৃদুগ্ধ পানকেন্দ্র, কনফেকশনারি শপ ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা। এতে করে আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচারপ্রার্থীরা আরামদায়ক পরিবেশে অপেক্ষা করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাঃ ইমদাদুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মাসুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস.এম. রেজাউল বারী ও মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার লিমেন্ট রায়, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাজিদুর রহমান, সরকারি কৌঁসুলি মোঃ আব্দুল বারী, স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ জাকির হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম বলেন, “বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থানকালে স্বস্তি ও তথ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে পারবেন এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকেও সেবা পাবেন।”
জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ আদম সুফি বলেন, “ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য তিনি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।”
জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ মাহবুব-উল-হোসেন বলেন, “ন্যায়কুঞ্জ ন্যায়বিচারের প্রতীক। এটি শুধু বিশ্রামের জায়গা নয়, বরং এটি বিচার প্রার্থীদের জন্য সম্মানের জায়গা।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিচারপতির পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ মোহাঃ ইমদাদুল হক উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচন করেন এবং আদালত চত্বরে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন।
এমন একটি উদ্যোগ আদালতে আগত সাধারণ মানুষের জন্য প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে