মৌলভীবাজার থেকে যাত্রা শুরু করলো দৈনিক স্বাধীনতার চেতনা পত্রিকা। সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে পত্রিকাটির প্রথম প্রকাশনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল এই গণমাধ্যমটি।
দৈনিক স্বাধীনতার চেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বকশী মিছবাহ উর রহমানের সভাপতিত্বে ও দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা সংবাদদাতা, সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মুহিবের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।
উলুয়াইল আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমদের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে এই জেলার ২২ লাখ বাসিন্ধাদের সুখ দুখের সারথী হবে দৈনিক স্বাধীনতার চেতনা পত্রিকাটি। তাদের বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে এ জেলার মানুষ উপকৃত হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে। গণমাধ্যমের উপর জাতির প্রত্যাশা অনেক। তাদের এই প্রত্যাশার বাস্তবায়নে নতুন এই গণমাধ্যমটি কাজ করবে।দেশমাতৃকার তরে জীবন দেওয়া বাংলা মায়ের গর্বিত সকল শহীদদের স্মৃতি স্মরণে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় পত্রিকাটি তার কাঙ্খিত লক্ষ্যপাণে এগিয়ে যাবে। জন্মদিনে আমরা দেখি এই স্বপ্ন। রাখি এই প্রত্যাশা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, দায়িত্ব নিয়ে একটি গণমাধ্যম প্রকাশ হওয়া অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জটি দৈনিক স্বাধীনতার চেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বকশী মিছবাহ উর রহমান নিয়েছেন। আমরা তার এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত এ জেলা থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমরা পত্রিকাটির সফলতা কামনা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেসক্লাবের আহবায়ক বকসী ইকবাল আহমদ বলেন, জেলা থেকে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হওয়া অনেক বড় ব্যাপার। সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া পত্রিকাটির নিয়মিত প্রকাশনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করি। উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া এ জেলাবাসীর দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে পত্রিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমনটি প্রত্যাশা রাখছি।
প্রকাশনা অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জজ আদালতের পিপি ও এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও বাংলাভিশন ও দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ মুকিত, রাজনগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রজত কান্তি গোস্বামী, সিনিয়র সাংবাদিক এনটিভির স্টাফ করেসপনডেন্ট ও দৈনিক ইনকিলাবের জেলা সংবাদদাতা এস এম উমেদ আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, পৌর বিএনপি আহবায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদ, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি আহমদ ফারুক মিল্লাদ, দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার মু. ইমাদ উদদীন, জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিঊটর ও সাংবাদিক এডভোকেট নিয়ামুল হক, দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, এশিয়ার টিভির প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান রাহেল, সাপ্তাহিক সমাচার পত্রিকার সম্পাদক আব্দাল মাহবুব কোরেশী, সাংবাদিক মোক্তাদির হোসেন, আব্দুল ওয়াদূদ, জাকির হোসেন, খালেদ পারভেজ বখশ, দাবাড়ু তাওহীদ ইসলাম প্রমুখ।