বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মুহতারাম সভাপতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) ছিলেন একজন ইনসানে কামিল বা পরিপূর্ণ মানুষ। তাঁর সবচেয়ে বড় কারামত হচ্ছে তিনি ধনী-গরিব, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণকামী অভিভাবক ছিলেন। তাঁর জীবন আমাদের জন্য আদর্শ। তিনি রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ ও উসওয়ার দ্বারা রঙিন ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবন গঠনের জন্য চারটি বিষয়ের উপর মনোনিবেশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন। রাসূল (সা.) এর চরিত্র ছিলো পবিত্র কুরআন। তিনি কুরআনের রঙে রঙিন ছিলেন। এজন্য আমাদেরকে পবিত্র কুরআনের আলোকে জীবন গঠন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সহীহ আমল ও বুযুর্গানের কিরামের পথ অনুসরণ করতে হবে। তৃতীয়ত, উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হতে হবে। দ্বীনের পাহারাদারীর জন্য আখলাকে হাসানার অধিকারী হওয়া প্রয়োজন। চতুর্থ বিষয় হচ্ছে মানবপ্রেম বা খেদমতে খালকে আমাদের নিয়োজিত থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, জীবনে সফল হতে হলে তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত হতে হবে। যারা তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত তারাই আল্লাহর পছন্দনীয় ব্যক্তি। এর প্রত্যেকটি বিষয়ই আমরা হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ’র জীবনে দেখেছি। তাই তাঁর জীবন আমাদের জন্য অনুসরণীয়।
অদ্য ১০ ফেব্রুয়ারি ‘২৪, শনিবার, বাদ যুহর, সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট পশ্চিম জেলা আয়োজিত ‘হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব (র.) এর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট পশ্চিম জেলার সভাপতি কুতুব আল ফরহাদ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ রেদ্বওয়ান হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সাজু’র সঞ্চালনায় সূচিত সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন। তিনি বলেন, হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) এদেশের ছাত্রসমাজ সহ তরুণদের বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষার জন্য তালামীযে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিভিন্ন বাতিল ফিরকা ও মতবাদ থেকে ছাত্রসমাজকে রক্ষায় এ সংগঠন কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সেমিনারে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন রাখালগঞ্জ দারুল কুরআন ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলীপুরী, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নজমুল হুদা খান, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা শহীদুল হক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. হেদায়েতুল্লাহ আল হাদি, মিয়ার বাজার আলিম মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা পিয়ার মাহমুদ, লেখক ও সাংবাদিক সালমান ফরিদ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহেদুর রহমান,সাবেক প্রচারও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আহমদ আল জামিল, সহ অফিস সম্পাদক হাফিজ তৌরিছ আলী, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কবির আহমদ, সিলেট মহানগরীর সভাপতি আতিকুর রহমান সাকের, কেন্দ্রীয় সদস্য ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট পূর্ব জেলার সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য কামাল উদ্দিন, সিলেট পশ্চিম জেলার সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সিলেট (পূর্ব) জেলার সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি লাবিবুর রহমান লাভলু, সিলেট মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন সামাদ, সিলেট পশ্চিম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম শিহাব, আব্দুল মান্নান, সিলেট (পূর্ব) জেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদুর রহমান, সিলেট পশ্চিম জেলার প্রচার সম্পাদক শেখ বিলাল আহমদ, সহ-প্রচার সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, রইছ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ইমরান আহমদ সুফি, অফিস সম্পাদক ফয়সল ইসলাম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সদস্য শামসুল ইসলাম, মোগলাবাজার থানা সভাপতি নাজমুল ইসলাম রাজন, বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মারুফ তালুকদার মিজু, ওসমানীনগর উপজেলা সভাপতি জুনায়েদ তালুকদার, বিশ্বনাথ (উত্তর) উপজেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিশ্বনাথ (দক্ষিণ) উপজেলা সভাপতি ফারুক আহমদ, সিলেট সদর (পশ্চিম) উপজেলা সভাপতি আহকামুল ইসলাম বুলবুল, সিলেট সদর (পূর্ব) উপজেলা সভাপতি আলমগীর হোসাইন, বিমানবন্দর থানা সভাপতি আব্দুল করিম, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি নুর হোসেন প্রমুখ।