সনাতন সম্প্রদায়ের আরাধ্য শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী আজ সোমবার। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্র যোগে শ্রী কৃষ্ণ মথুরায় কংসের কারাগারে দেবকীর গর্ভে অষ্টম সন্তান রূপে জন্ম নেন। তার এই জন্মদিনকে জন্মাষ্টমী বলা হয়।
পুরাণ, মহাভারত, ভাগবতের বর্ণনা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুসারে কৃষ্ণের জন্মর খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ সালে।দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।এবার শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ জন্মদিন১৪৩১ বাংলার ও ইংরেজির ২০২৪ সাল অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০তম জন্মদিন। বিভিন্ন পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থ মতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর প্রকট লীলাবিলাস করেন। ১২৫ বছর পৃথিবীতে অবস্থান করে যান বৈকুন্ঠে। মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করে অন্তর্ধান করেন। সেই দিনই কলি প্রবেশ করে। সেই দিন ছিল শুক্রবার।
খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ আরম্ভ হয়। বর্তমান ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। তা হলে কলির বয়স ৩১০১+২০২৪=৫১২৫ বছর। শ্রীকৃষ্ণের অর্ন্তধানের দিন কলির আবির্ভাব। শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর প্রকট লীলা করেছেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৫+১২৫=৫২৫০ বছর পূর্বে হয়েছিল।হিন্দু পুরান মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্ম। পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।