মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, কক্সবাজার নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল, রাসেল,পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি এর নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার এসআই(নিঃ)/ মোঃ মনজু , এসআই (নিঃ)/ মোঃ সোহেল আহমেদ, এসআই (নিঃ)/ মোঃ আজহারুল ইসলাম, এসআই (নিঃ)/ মোঃ কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারি কোনারপাড়া এলাকায় অবৈধ মাদক ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধারসহ নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
২৪/১২/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০২.৪০ ঘটিকার সময় হ্নীলা বাজার এলাকায় অবস্থান করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারি কোনারপাড়া সাকিনের ৬নং ওয়ার্ডস্থ জনৈক আবুল কালামের বাড়ি সংলগ্ন খালের কিনারায় কতিপয় অস্ত্রধারী ডাকাত, ডাকাতি করিবার উদ্দেশ্যে অস্ত্র-শস্ত্রসহ প্রস্তুতি গ্রহন করছে। সংবাদ পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টেকনাফ মডেল থানার চৌকস টিম ইং ২৪/১২/২০২৩ তারিখ রাত ০৩.০৫ ঘটিকার সময় বর্ণিত ঘটনাস্থলে পৌঁছাইলে ১০/১১ জনের ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ডাকাত মোঃ সোহেল (২৩), পিতা-সৈয়দ আলম, মাতা-সৈয়দা ইয়াছমিন,স্থায়ী: গ্রাম-পশ্চিম পানখালী, মইন্যার জুম, ৫নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে আটক করে।
অপরাপর ডাকাতেরা তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। তথায় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ধৃত ডাকাত মোঃ সোহেল এর দেহ তল্লাশীকালে তাহার নিজ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া মতে তাহার পরিহিত প্যান্টের পেছনে গোঁজা অবস্থায় ১। ০১টি এলজি, ২। ০৩টি ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা এবং পলাতক ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ৩। ০১টি একনলা বন্দুক, ৪। ০১টি একনলা বন্দুক (এলজি), ৫। উভয় পাশ ধারালো ০১টি চাকু, ৬। ০১টি দা, ৭। ০২টি লোহার রড প্রাপ্ত হইয়া বিধি মোতাবেক ইং ২৪/১২/২০২৩ তারিখ রাত ০৩.৩৫ ঘটিকায় জব্দ করে।
ধৃত ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার এবং পলাতক ডাকাতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং আরো জানায় যে, ঘটনাস্থল হইতে পলাতক ডাকাতেরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন ডাকাত আনোয়ার হোছেন প্রঃ লেডাইয়া (৩২) এর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করিতেছিল।
দীর্ঘদিন যাবৎ বর্নিত ধৃত, পলাতক এবং অজ্ঞাতনামা ডাকাতেরা হ্নীলা ও আশপাশ এলাকায় সংঘবদ্ধ হইয়া অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করিয়া আসিতেছে বলিয়া জানা যায়। ধৃত, পলাতক ও অজ্ঞাতনামা ডাকাতেরা জ্ঞাতসারে ডাকাতি করিবার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিসহ সমবেত হইয়া পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৯৯/৪০২ ধারার অপরাধ এবং জ্ঞাতস্বারে অবৈধ অস্ত্র-গুলি নিজেদের হেফাজতে রাখিয়া ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের 19A/19(f) ধারার অপরাধ করায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হইয়াছে।