1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন

কুতুবদিয়ায় সুপার ড্রাইভ বেড়ীবাধ প্রসঙ্গে

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

বেড়ীবাঁধ চাই, বেড়ীবাঁধ চাই,আমাদের প্রাণের জন্মভূমি কুতুবদিয়া চতুর্দিকে টেকসই সুপারড্রাইক বেড়ীবাঁধ চাই। হ্যাঁ ভাই কুতুবদিয়া প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণের দাবি কুতুবদিয়া চতুর্দিকে একটা টেকসই বেড়ীবাঁধ । কুতুবদিয়ে কেন বেড়ীবাধ প্রয়োজন, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে আমাদেরকে কুতুবদিয়ার ভৌগলিক অবস্থান এবং পিছনের কিছু ইতিহাস জানার চেষ্টা করতে হবে। কুতুবদিয়ার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয়,, ভৌগলিক দিক থেকে কুতুবদিয়া কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যখানে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত ও বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত একটি দ্বীপ।পঞ্চদশ শতাব্দীতে এই দ্বীপের উৎপত্তি হলেও তখন বেড়ীবাঁধের প্রয়োজন ছিল কিনা তা আমরা বলতে পারছি না।

তবে অত্র দ্বীপের প্রবীণ লোকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়,, ১৯৬০ ইংরেজিতে এই দ্বীপে একটা সামুদ্রিক বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এবং তাদের মতে,, জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতিও অনেক হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির স্থায়িত্ব স্থলভাগে বেশিক্ষণ ছিল না। এখন আমরা বলতে পারি,, ৬০ এর দশকের পর থেকেই কুতুবদিয়ায় বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের জন্য একটি বেরিবাধ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ১৯৯১ ইংরেজির ২৯ শে এপ্রিল অত্র দ্বীপের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ও প্রলয়ংকারী ” হ্যারিক্যান ” বেরিবাধকে কুতুবদিয়া তথা কুতুবদিয়া জনগণের বেঁচে থাকার নিঃশ্বাসের দাবিতে পরিণত করে দেয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে,, ৬০ এর দশকের আগে বেরিবাধ কি প্রয়োজন ছিল না ? হ্যাঁ অবশ্যই ছিল, তবে এত প্রখরভাবে নয়। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে, আমরা দেখতে পাই,, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের পানি স্থলভাগের চেয়ে অন্তত ১/২ দুই ফুট উপরে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আপনারা অত্রর্দ্বীপের দক্ষিণ – পশ্চিম দিকের সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।

যেহেতু সমুদ্রের পানি স্থলভাগের উপরে চলে গেছে সেহেতু সামান্য জোয়ার বা ছোটখাটো নিম্নচাপ বা লঘুচাপের প্রভাবেও কুতুবদিয়া পানির নিচে তলিযে যেতে আমরা দেখতে পাই। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো,, কাচা মাটি দিয়ে তৈরী নিন্মমানের বেড়ীবাধ। যা সামান্য সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে ও বিলীন হয়ে যায়। এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে,, ৬০ থেকে ৯১ প্রায় একত্রিত দশকের ভিতরে কুতুবদিয়ায় কোন উল্লেখযোগ্য প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় নি কেন ? কারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি,, ঐ সময়ের ভিতরে সাগরের পানি স্থলভাগের নিচে প্রবাহিত হতো। যার কারনে বেড়ীবাধ দুর্বল হলেও সহজে স্থলভাগ সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারত না। স্থলভাগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের এই অসম অবস্থানকে আমরা কেয়ামতের লক্ষণ বলেও গণ্য করতে পারি। কিন্তু আমরা আগে আলোচনা করেছি,, বিশেষ করে ৯০ দশক থেকে কুতুবদিয়া স্থলভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে চলে যাওয়ায় ঘন ঘন সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে। সুতরাং বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কাছে,, কুতুবদিয়ার প্রায় ২ লক্ষাধিক জনগণের প্রাণের দাবি,, কুতুবদিয়াকে একটি স্থায়ী ” সুপার ড্রাইভ ” বেড়ীবাধের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com