1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাদারীপুরের কালকিনিতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পীরগঞ্জে কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাক জনতার হাতে আটক কালিয়াহরিপুরে পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিয়ন’র আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত গজারিয়ায় এসিল্যান্ডের দুর্নীতির অভিযোগে প্রত্যাহার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ মানববন্ধন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন গোলেরহাট ফাজিল বিএ মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময় সীমান্তে গুলির পর ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ নিয়ামতপুরে নাশকতা মামলায় যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

কুরবানি সামনে রেখে লাখাই ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

পারভেজ হাসান লাখাই প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

কোরবানির ঈদ এলেই টিং টাং টং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকার কামার পাড়াগুলোতে। বেড়ে যায় কারিগরদের ব্যস্ততা। হাতুড়ি পেটার শব্দে মুখর লাখাই উপজেলা বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়ায়।সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।কামারপাড়ায় এখন গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহা। কেউ পুরনো দা-ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। বুল্লা বাজারের বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক।তবে কামারপাড়ার কারিগররা অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে উপজেলাতে কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছেন অনেকে। উপজেলার কামাররা বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে কোরবানির সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।উপজেলার কামার কৃষ্ণ কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।বুল্লা বাজারের কামার নিতিন্দ্র দেব বলেন, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কোরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো হয়।কয়েকজন ক্রেতা জানান, কুরবানি ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম স্বাভাবিক বলে জানান তারা।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com